অনলাইন ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ইতিহাস সময়টাই যেন নেমে এসেছিল ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে। মনে হচ্ছিল যেন একদম জীবন্ত, হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে, ধরা যাবে বঙ্গবন্ধুকে। হাজারো তরুণ তরুণীর সামনে জয় বাংলা কনসার্টে বঙ্গবন্ধু হাজির হয়েছিলেন চোখের সামনে, ভার্চুয়ালি, হলগ্রাফিক প্রযুক্তিতে। পুরো পরিবেশনাটি আরো আবেগময় হয়ে উঠেছিল শুরুতে হলগ্রাফিক রূপে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার উপস্থিতি। তাদের মুখে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ৩২ নম্বর সড়কের বাড়ির পরিস্থিতি, তাদের মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের দূরদর্শী পরামর্শের স্মৃতিচারণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠে কবিতার শেষ ক’টি লাইনের আবৃতি পুরো পরিবেশকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ২৩টি উক্তি নিয়ে থ্রিডি হলোগ্রাম তৈরি করেছে। সবার মধ্যে স্বাধীনতার চেতনাকে উজ্জীবিত করা এবং ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা এই হলোগ্রামের উদ্দেশ্য।
এই প্রকল্পটির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এন.ডি.ই সল্যুশন লিমিটেড হলগ্রাফিক প্রযুক্তির কারিগরি দিক বাস্তবায়ন করেছে। এন.ডি.ই সল্যুশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াদ এস.এ হোসেইন বলেন, ‘হলোগ্রাফি হচ্ছে এমন এক ধরনের ফটোগ্রাফিক প্রযুক্তি যা কোনো বস্তুর ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এ প্রযুক্তিতে তৈরি করা ত্রিমাত্রিক ছবি ‘হলোগ্রাম’ নামে পরিচিত।’
তিনি আরো বলেন, এটি আবারো লাইভ প্রদর্শন করা হবে, ‘আগামী ১৯ মার্চ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিতব্য শিশুমেলায় এবং ‘তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কংগ্রেস ২০২০’-এ, যা বাংলাদেশে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও এই হলোগ্রাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এ দর্শনার্থীদের জন্য স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হবে।’