এ কে আজাদ, ব্যুরো প্রধান, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, চাঁদপুর : করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে ওরা কেউ গৃহবধু ফাতেমার কবরের জায়গাও দিতে চায়নি, আসেনি কেউ কবর খুঁড়তেও। অবশেষে কোদাল হাতে তুলে নিলেন চাঁদপুর জেলা পুলিশের সদস্য, হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন।
সহযোদ্ধা পুলিশ সদস্য, সাংবাদিক ও স্থানীয় মেম্বারকে সাথে নিয়ে গভীর রাতে কবর খুঁড়ে সমাহিত করলেন ফাতেমাকে।
ওই সময় তাঁর সাথে ছিলেন এএসআই জয়নাল আবেদীন, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সিফাত, স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং ইসলামী আন্দোলনের দাফন-কাফন টিমের প্রধান মাওলানা যোবায়ের আহমেদ।
ফাতেমার লাশ দাফন করা হয় হাজীগঞ্জের রাজারগাঁও গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে।
শুক্রবার রাত ৮ টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে ফাতেমা চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বার ৮টায়। মাত্র দেড় ঘন্টার মাথায় রাত সাড়ে ৯ টায় তিনি মারা যান। মৃত ফাতেমা বেগমের বাসা শহরের বিষ্ণুদী মাদরাসা সড়ক এলাকায়। তার স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর হোসেন।
এদিকে, মৃতের মরদেহ দাফনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার এলাকার জনপ্রতিনিধিরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্মসূত্রে চাঁদপুর শহরে বসবাসকারী জাহাঙ্গীর হোসেনের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে। তবে তার শ্বশুরবাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নে।
কিন্তু তার স্ত্রীর অনাকাঙ্খিত এমন মৃত্যুর ঘটনার পর শ্বশুরবাড়িতে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। তাতে বাদ সাধেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী।
এমন পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় ইউপি মেম্বার ইসমাইল হোসেনের অমানবিক আচরণে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে পুলিশের হস্থক্ষেপে তাদের হাতেই দাফন হলো ফাতেমার লাশ ।