কুষ্টিয়া, নওগাঁ, বরিশাল ও বেনাপোলে হঠাৎ বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। গত এক সপ্তাহে কুষ্টিয়া এবং বরিশালে কেজিতে দাম বেড়েছে ৬ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। নওগাঁ ও বেনাপোলে মোটা-চিকন চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। ক্রেতারা বাজার তদারকির অভাবকে দূষলেও ব্যবসায়ীদের দাবি, ধানের দাম বাড়ায় বেড়েছে চালের উৎপাদন খরচ।
কুষ্টিয়ার খুচরা বাজারে গত সাতদিনে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৬ টাকা। মোটা চালের দাম বেড়েছে ৪ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৩৯ টাকায়, এখন তা ৪৬ এবং মোটা চাল ২৮ টাকা থেকে বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকায়। হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে ক্রেতারা। আর বিক্রেতা দেখাচ্ছেন নানা যুক্তি।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম খাজানগরের মিল মালিকরা বলছেন, ধান-চাল কেনার সরকারিভাবে ঘোষণার পর বেড়েছে ধানের দাম। এতে চালের বাজার কিছুটা বেড়েছে।
ভোক্তাদের অভিযোগ, কৃত্রিম সংকট তৈরি করেই বাজার অস্থিতিশীলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
নওগাঁয় সব ধরনের মোটা ও চিকন চাল কেজিতে ৩/৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, ধানের মজুদ কমে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে বাজারে।
বরিশালে পাইকারি বাজারে কেজিতে ২ থেকে ৮ টাকা বাড়লেও, খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকায়। এজন্য ধানের সংকটকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে নজরদারি বাড়ানোর কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে যশোরের শার্শা ও বেনাপোলে চিকন চাল কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। শুরুতেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হওয়ার আশঙ্কা সাধারণ মানুষের।