1. azadkalam884@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  2. bartamankantho@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  3. cmisagor@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  4. khandakarshahin@gmail.com : Khandaker Shahin : Khandaker Shahin
মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
১১ বছরে বর্তমানকণ্ঠ-
১১ বছর পদার্পণ উপলক্ষে বর্তমানকণ্ঠ পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা....

বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় দিপ্ত টিভির সাংবাদিক ইব্রাহিম জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

এ কে আজাদ, চীপ রিপোর্টার
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় দিপ্ত টেলিভিশনের চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি ইব্রাহিম রনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বর্তমানে তিনি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছেন।

ইব্রাহিম রনি দীপ্ত টিভি, বাংলা ট্রিবিউন এর চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক চাঁদপুর প্রতিদিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। ইব্রাহিম রনি ফুসফুসের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তথাকথিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

সর্বশেষ গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে বিএসএমএমইউ (পিজি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ইব্রাহিম রনির স্বজনরা জানান, তার দুটো ফুসফুসেই ইনফেকশন রয়েছে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন। বর্তমানে তিনি কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ক্ষুধামন্দা, এলার্জিজনিত সমস্যা, স্বাস্থ্যহানিসহ নানা সমস্যায় ভুগছেন। তথাকথিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর ডা. আলী হোসেনের ভুলচিকিৎসার কারণে এখন তিনি ফুসফুসের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন।

সাংবাদিক ইব্রাহিম রনি জানান, কয়েক বছর ধরে আমি এলার্জি জনিত সমস্যায় ভুগছিলাম। এরপর এক পর্যায়ে কাশি হয়। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খেলেও সমস্যার উন্নতি হচ্ছিল না। এক পর্যায়ে উন্নত চিকিৎসার আশায় গত ২০ ডিসেম্বর ঢাকাস্থ ল্যাব এইডে গিয়ে সেখানকার প্রফেসর ডাঃ আলী হোসেনের কাছে গেলে শুধুমাত্র এক্সরে দেখেই তিনি বলেন আমার টিবি রোগ হয়েছে। এরপরও আমার অনুরোধে তিনি সিটিস্ক্যান, টিবি গোল্ড টেস্ট করান। এছাড়া অন্যত্র স্পুটামের জিন এক্সপার্ট টেস্ট করাই। এসব টেস্টের কোনোটিতেই টিবি পজেটিভ আসেনি। তবুও ডাঃ আলী হোসেন আমাকে ছয় মাস টিবির ওষুধ দেন। সাড়ে পাঁচ মাস যাবত ওই ওষুধ খেতে থাকালেও আমার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হতে থাকে। অবস্থা খারাপ দেখে ৬ জুন আবারো তার কাছে গেলে নতুন এক্সরে রিপোর্ট দেখে বলেন, ‘আপনার তো ওষুধে কাজ করছে না, আপনার এমডিআর (মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স) হতে পারে।’ তখন তিনি আমাকে ব্রংকোস্কপি এবং টিবির স্পুটাম টেস্টসহ ৮ প্রকারের যাবতীয় টেস্ট করান। এক মাসের মধ্যে বেশিরভাগ রিপোর্ট আসার পর সেগুলো নিয়ে তার কাছে যাই। রিপোর্ট দেখে তিনি জানালেন, ‘সব রিপোর্ট নর্মাল। ভেবেছিলাম আপনার এমডিআর বা সারকোডোসিস। কিন্তু রিপোর্টে কিছু না আসায় এখন আমি আপনাকে নিয়ে চিন্তিত- এই বলে তিনি এবার কোর বায়োপসি করাতে বলেন। এমনকি এক পর্যায়ে তিনি আমাকে প্রশ্ন করেন আপনাকে টিবির ওষুধ দিয়েছিলো কে? তখন আমি বললাম কোনো আপনি দিয়েছেন। আমার জবাব শুনে তিনি নিশ্চুপ হয়ে যান।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক ইব্রাহিম বলেন, দেশে তিনি অনেক সিনিয়র ও অভিজ্ঞ একজন ডাক্তার। অথচ সবকিছু পর্যালোচনায় বুঝা যায়, তিনি যে আমাকে টিবির চিকিৎসা দিয়েছিলেন তা ছিল অহেতুক ও ভুল। কারণ, আগে এবং পরে যতগুলো টেস্ট করিয়েছেন কোথাও টিবি ধরা পড়েনি। তার এমন ভুলে আমার শারীরিক অবস্থা এখন অত্যন্ত নাজুক। সময় গেল ছয় মাস, অনেক টাকা খরচ হলো- অথচ এখনো রোগই সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারলেন না তিনি। বর্তমানে আমি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছি।




এই পাতার আরো খবর

















Bartaman Kantho © All rights reserved 2020 | Developed By

Privacy Policy

Theme Customized BY WooHostBD