নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৭: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুলতান মাহমুদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কামাড়ের মোড়ের একটি ছাত্রাবাস থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার জোরগাছ পাথরঘাটা গ্রামে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শফিক আশরাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কামাড়ের মোড়ের মাহাফুজা ছাত্রাবাসের সিঙ্গেল একটি কক্ষে থাকতেন সুলতান। সন্ধ্যায় সুলতানের রুমে শিট নেওয়ার জন্য যান তার এক সহপাঠী। সুলতানের রুম ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও তার কোনো সাড়া না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানায় ছাত্রাবাসের অন্য শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শফিক আশরাফ পুলিশ নিয়ে তার কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ফ্যানের সঙ্গে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। সহকারী প্রক্টর শফিক আশরাফ বলেন, আত্মহত্যার কারণ এখনও বলা যাচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহিব্বুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার যেভাবে চাইবে সেভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তবে প্রেম ঘটিত কারণে সুলতান মাহমুদ আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে তার বড় ভাই রঞ্জু। তিনি জানান, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার এক মেয়ের সাথে ৪/৫ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল সুলতান মাহমুদের। বর্তমানে সেই মেয়ে রৌমারীর একটি কলেজে ইন্টারমিডিয়েট ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পরিবারের লোকজন বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে। মেয়ের পরিবারের তরফ থেকে দুই বছর সময় বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু বিভিন্ন সময় মেয়ের বিয়ের চেষ্টা চালানো হয়।
গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) আবারও মেয়ের বিয়ে অন্যখানে ঠিক করার চেষ্টা করে তার পরিবার। বিষয়টি সুলতান মাহমুদ জেনে গেলে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। একারণেই সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।