নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭: সোমবার দুপুরে ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউ এবং হসপিটাল রোডের সংযোগস্থলে হাওড়া-আমতা রুটের একটি সরকারি বাস পার্কের রেলিংয়ে ধাক্কা মারে।
সোমবার বিকেল সওয়া ৩টে। পকেটে রাখা মোবাইল ফোনে রিং। স্ক্রিনে ভেসে উঠেছিল স্ত্রীর নাম। কিন্তু টাওয়ার বিভ্রাট। মুর্শিদাবাদ থেকে আসা ‘কল’ শুনতেই পাচ্ছিলেন না। তাই কিয়স্ক ছেড়ে সামান্য দূরে সরে গিয়েছিলেন। তখনই হুড়মুড় করে সরকারি বাস এসে ধাক্কা মারে ট্র্যাফিক কিয়স্কের কয়েক হাতের মধ্যে। প্রাণরক্ষার জন্য তাই ‘কলড্রপ’ সমস্যাকেই ধন্যবাদ দিচ্ছেন ট্র্যাফিক কনস্টেবল নরেশ মাঝি।
সোমবার দুপুরে ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউ এবং হসপিটাল রোডের সংযোগস্থলে হাওড়া-আমতা রুটের একটি সরকারি বাস পার্কের রেলিংয়ে ধাক্কা মারে। ধাক্কার অভিঘাতে ভেঙে-দুমড়ে যায় পার্কের লোহার রেলিং। সেখানেই রয়েছে সাউথ ট্র্যাফিক গার্ডের ট্র্যাফিক কিয়স্ক।
অঘটন: উপড়ে গিয়েছে পার্কের রেলিং।
নরেশের কথায়, ‘‘কলড্রপ নিয়ে আমরা কত সময় বিরক্ত হই। এই জায়গায় টাওয়ারের সমস্যা রয়েছে। তাই স্ত্রীর ফোন কেটে যাওয়ার পরে ওকে ফোন করার জন্য উঠেছিলাম। ইতিমধ্যেই বাসটা হুড়মুড় করে এসে রেলিংয়ে ধাক্কা মারল। আমার দুই ছেলে রয়েছে। খুব বড় ফাঁড়া গেল। ভাগ্যিস, ফোনে শুনতে পাইনি। টাওয়ার সমস্যার জন্যই এ যাত্রা বেঁচে গিয়েছি।’’ আতঙ্ক কাটিয়ে পরে আবার কাজে নেমে পড়েন ওই ট্র্যাফিক কর্মী।
দুর্ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠেছে পরিবহণ দফতরের বাসের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও। হাওড়া থেকে আমতাগামী বাসটিতে দুর্ঘটনার সময় অন্তত ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। পুলিশ জানায়, বাসের স্টিয়ারিংয়ের ‘টাইরড’ (গাড়ির চাকার দিক নিয়ন্ত্রণ করে। চাকায় ধাক্কা লাগলে বা টাইরড-চাকার সংযোগকারী অংশ শুকনো হয়ে গেলে তা বিকল হয়) বিকল হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। দুর্ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বাসচালক তারক গুহঠাকুরতা সে কথা স্বীকারও করেছেন। যদিও গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে তিনি মন্তব্য করতে চাননি।
ঘটনার শেষ অবশ্য এখানেই হয়নি।। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে সরাতে আসা রেকার ভ্যানের বিকল গাড়ি টেনে নিয়ে যাওয়ার যন্ত্রাংশই বিকল হয়ে যায়। যার জেরে রাস্তাতেই দীর্ঘক্ষণ পড়ে ছিল বাসটি।