শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন

মধুখালী বাজারের ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ০ Views পাঠক
শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২০

বর্তমানকন্ঠ ডটকম, মধুখালী, ফরিদপুর : ১৭ এপ্রিল শুক্রবার ফরিদপুরের মধুখালী বাজারে সরকারী বিধি না মেনে কৃষি পণ্য বিক্রয়কারী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাকা রশিদ ছাড়াই টোল আদায় করছেন নতুন ইজারাদার।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছে কৃষি পণ্য বিক্রয় কারী ও ব্যবসায়ীগন। বিপাকে পড়েছেন বাজারের সাধারন ব্যবসায়ীগণ ও কৃষি পণ্য বিক্রেতা। মধুখালী বাজারের টোল আদায়ের জন্য এক বছরের ইজারার প্রাপ্ত হয়েছেন নতুন ইজারাদার।

তিনি আগামী এক বছর বাজারের সকল প্রকার টোল আদায় করবেন। নিয়ম অনুযায়ী পৌরসাভাধীন হাট বাজার গুলি পৌর সভা ইজারা দিয়ে থাকে। পৌর সভার বাইরের হাট বাজার উপজেলা প্রশাসন টোল আদায়ের জন্য ইজারাদার নিয়োগ দিয়ে থাকে।

১৪২৭ বাঙ্গাব্দের নতুন বছরের মধুখালী বাজারের টোল আদায়ের জন্য প্রাপ্ত নতুন ইজারাদার পুর্বানিমানুযায়ী টোল আদায় করতে চান। টোল আদায়ে বাদ সাধেন মধুখালী বাজার বনিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক। এ প্রতিবেদক সরজমিনে বাজার পরিদর্শনে গেলে বিভিন্ন ব্যবসায়ী নাম না প্রকাশে বলেন আমরা পড়েছি মহাবিপদে দুপক্ষের রশি টানাটানিতে।

এমনিতে মহামারী করোনাভাইরাসের কারনে ব্যবসা বাণিজ্য নেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এরই মধ্যে কিভাবে টোল পরিশোধ
করি।

এ ব্যাপারে মধুখালী বাজার বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মির্জা মাঝহারুল ইসলাম মিলনের মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজার বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার দাবী হাট বাজার ইজারার শর্তানুসারে কৃষি পণ্য বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টোল আদায় করতে হলে পাকা রশিদের মাধ্যমে আদায় করতে হবে, উন্মুক্ত স্থানে সবার দৃষ্টিতে আসে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত টোল আদায়ের হার প্রদর্শন করতে হবে বা টাঙ্গিয়ে দিতে হবে, ইজারাদারের অর্থায়নে বাজার পরিস্কার পরিছন্ন করতে হবে। বাজার পরিস্কার না করায় নোংড়া আর দুর্গন্ধের বাজারে পরিনতি হয়েছে।

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছা মাফিক ও সরকারী বিধি না মেনে টোল আদায় চলছে। মধুখালী বাজারের টোল আদায়ের জন্য এক বছরের নিয়োগ প্রাপ্ত ইজারাদার মির্জা আহসানুজ্জামান আজাউলের মোবাইলে জানতে চাইেলে তিনি জানান মধুখালী একটি পুরাতন ঐতিয্যবাহি বাজার । আগে যারাই বাজার এক বছরের টোল আদায়ের জন্য ইজারা পেয়ে থাকেন টোল না বাড়িয়ে গতানুগতিক টোল আদায় করে থাকেন।

সরকারী বিধি মোতাবেক টোল আদায় করতে গেলে কৃষকের বিক্রিত পণ্যের উপর ও ব্যবসায়ীদের টোলের হারও বাড়বে । সরকারী নিয়ম হচ্ছে বিক্রিত পণ্যের উপর ৫% টোল । সেটা আদায় করলে কৃষকের উপর বাড়তি চাপ পড়ে যেটা আমি চাই না ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই পাতার আওর সংবাদ