নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,মঙ্গলবার,১৯ ডিসেম্বর ২০১৭: রাজশাহী অঞ্চলে কমছে তাপমাত্রা, বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সেই সঙ্গে বেড়েছে বাতাসের আর্দ্রতা। স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক দেবল কুমার মৈত্র জানান, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ এবং ৯০ শতাংশ।
এদিকে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে বইতে শুরু করেছে শৈত্য প্রবাহ। মঙ্গলবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশা লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া কুয়াশার সঙ্গে রয়েছে হালকা বাতাস। দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজশাহীতে সূর্যের দেখা মেলেনি।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গত সোমবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওইদিন রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা সকালে ৯৪ শতাংশ ও সন্ধ্যায় ৮৯ শতাংশ। গত রবিবার রাজশাহী অঞ্চলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা সকালে ৯৪ শতাংশ ও সন্ধ্যায় ৯১ শতাংশ।
হঠাৎ শীতের কারণে খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছে। তবুও জীবিকার তাগিদে ছুটে চলতে হচ্ছে তাদের। নগরীর বিনোদপুর বাজার এলাকায় কথা হয় সোহল রানা নামের এক রিকশা চালকের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিকেলে থেকে হঠাৎ বাতাস আর শীত নামছে। তাই অনকে কষ্ট হচ্ছে রিকশা চালাতে।
আবহাওয়া অফিসের আরেক পর্যবেক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকেলে থেকে তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে বাতাসের কারণে। গত রবিবারের তুলনায় তাপমাত্রা কমেছে দুই ডিগ্রি। তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অপরিবর্তিত রয়েছে। এ ভাবে তামপাত্রা কমতে থাকলে শৈত্যপ্রবাহ আরও বাড়বে। তিনি আরও বলেন, শীত ইতিমধ্যে বেশ জাঁকিয়ে বসতে শুরু করেছে। দিনের তুলনায় কমছে রাতের তাপমাত্রা। এছাড়া ঘন কুয়াশাও পড়তে শুরু করেছে।