1. azadkalam884@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  2. bartamankantho@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  3. cmisagor@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  4. khandakarshahin@gmail.com : Khandaker Shahin : Khandaker Shahin
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন
১১ বছরে বর্তমানকণ্ঠ-
১১ বছর পদার্পণ উপলক্ষে বর্তমানকণ্ঠ পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা....

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চীনের তিন স্তরের প্রস্তাব

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  • প্রকাশিত : সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৭

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭: মিয়ানমার থেকে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়া এবং এ সংকট সমাধানের জন্য তিন স্তরের প্রস্তাব দিয়েছে চীন। সোমবার মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে এশিয়া-ইউরোপের বিভিন্ন দেশের জোট ‘আসেম’র বৈঠক শুরুর আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ প্রস্তাব তুলে ধরে।

প্রস্তাবে প্রথমেই বাস্তুচ্যুৎ ও দেশত্যাগী রোহিঙ্গা মিয়ানমারে নিতে রাখাইন রাজ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তির মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। অন্য দুটি প্রস্তাবে কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করার জন্য দ্বিপক্ষীয় সংলাপ এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য মিয়ানমার-বাংলাদেশের কাজ করার কথা বলা হয়েছে।

গত আগস্ট মাসে রাখাইনে পুলিশের ওপর বিদ্রোহীদের হামলার অভিযোগে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের লক্ষ্য করে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

এ সময় ব্যাপক হারে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা-নির্যাতন-ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ চালায় সেনারা।

সেনা অভিযানের এই বর্বরতাকে জাতিগত নিধন হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ। এই নিপীড়ন থেকে রেহাই পেতে ও প্রাণ বাঁচাতে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এ অবস্থায় নির্যাতন বন্ধ ও শরণার্থী হয়ে পড়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পুনর্বাসনের বিষয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সমাজ সোচ্চার হয়।
এ ছাড়া বিশ্বজুড়েই রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ, হত্যা-ধর্ষণে জড়িত সেনাদের বিচারের দাবি জোরদার হচ্ছে। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা ইস্যুটি যেন দ্বিপক্ষীয়ভাবে সুরাহা করা সম্ভব হয়, তার জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করছে দুই দেশের মিত্র চীন।

এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সোমবার আসেম সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে শনিবার ঢাকা সফর করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ সফর শেষে রোববার নেইপিদোতে পৌঁছে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, চীন বিশ্বাস করে প্রতিবেশী মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের গ্রহণযোগ্য সমাধান হতে পারে।
ওয়াংয়ের বরাতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, ‘প্রথম পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে রাখাইনে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করা যেতে পারে। যাতে লোকজন শান্তিতে থাকতে পারেন এবং পালাতে বাধ্য না হন।’

তিনি বলেন, ‘সব পক্ষের কঠোর পরিশ্রমের ফলে প্রথম পর্যায়ের প্রস্তাবের লক্ষ্য ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে এবং জ্বালাও-পোড়াও ঠেকানো গেছে। বিশেষ করে সেখানে যুদ্ধের দাবানল পুনরায় জ্বলে ওঠেনি।’
যুদ্ধবিরতিতে কাজ হয়েছে উল্লেখ করে ওয়াং দ্বিতীয় প্রস্তাবের ব্যাপারে বলেন, ‘একটি কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করার জন্য দ্বিপক্ষীয় সংলাপে বসা উচিত।’

তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায়ে দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর ভিত্তি করে একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য উভয় দেশের কাজ করা উচিত বলেও উল্লেখ করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রাখাইনের সংঘাতের প্রধান কারণ হচ্ছে দারিদ্র্য। মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের অভিযান গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। তবে শরণার্থীদের সঙ্গে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া বিদ্রোহীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তারা এখনো সতর্ক অবস্থানে আছে।




এই পাতার আরো খবর

















Bartaman Kantho © All rights reserved 2020 | Developed By

Privacy Policy

Theme Customized BY WooHostBD