নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৮: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া বিলম্ব হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশকে দোষারোপ করেছে মিয়ানমার। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমস।
সহিংসতাপূর্ণ রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এই মুসলিম সম্প্রদায়টির সদস্যদের মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) থেকে প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল।
২০১৬ সালের অক্টোবর ও ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমারের নিরপত্তা বাহিনীর দুই দফা অভিযানে বাংলাদেশ পালিয়ে আসে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম। গত মাসে তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় মিয়ানমার। তবে নিজেদের বাড়ির পরিবর্তে তাদের সেখানেও শরণার্থী শিবিরে থাকার কথা বলা হয়।
দুই বছরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শেষ করার কথাও জানায় মিয়ানমার সরকার। এ নিয়ে ঢাকার সঙ্গে একটি চুক্তি করে নাইপিদো। অবশ্য ওই চুক্তিতে জাতিসংঘকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বর্তমানে বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছে রোহিঙ্গারা।
সোমবার শরণার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম আজাদ জানান, তাদের ফেরত পাঠানোর তালিকা তৈরি ও শনাক্তের কাজ শেষ না হওয়ায় আপাতত প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না।
মিয়ানমারের মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী কো কো নাইং বলেন, ‘চুক্তি অনুসারে ফিরে এলে আমরা তাদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত। আমাদের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি শেষ।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা খবরে দেখেছি, বাংলাদেশ তাদের ফেরত পাঠাতে প্রস্তুত নয়। কিন্তু এখনো আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।’
দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং তুন বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা, আমরা আজ থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু করি।’