সিরাজুল ইসলাম রতন, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, গাইবান্ধা : সেবা, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা, শিষ্টাচার ও কর্মদক্ষতার কারনে সরকার মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য চালু করেছে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার।
প্রতি বছরই সরকার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত কর্মকর্তাদের ভাল কাজের পুরস্কার স্বরুপ এই স্বীকৃতি প্রদান করে থাকেন। মনোনীত এসব কর্মকর্তাদের হাতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই পুরস্কার তুলে দেন।
মেরিনা আফরোজা পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি হিসেবে ২০১৯ সালে পলাশবাড়ী উপজেলায় যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর থেকে ভূমি খাতে সেবার মান উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের আখরায় পরিনত ইউনিয়ন ভুমি অফিস গুলোতে এসেছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই খুবই স্বল্প সময়ে সরকার নির্ধারিত টাকায় জমি খারিজ ও খাজনা
আদায় হচ্ছে ভূমি অফিস গুলোতে। শুধু তাই নয় একজন সৎ মানবিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবেও তিনি সচেতন মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন ।
অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন, ভোক্তা অধিকার আইন বাস্তবায়নে, মাদক, জুয়া, যৌন হয়রানী, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে পরিচালনা করেছেন শতাধিক ভ্রাম্যমান আদালত। পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরীতে তার উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রয়েছে।
সম্প্রতি নোভেল -১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রোমন এড়াতে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে জনসচেতনতার পাশাপাশি তিনি কঠোর ভুমিকা পালন করেছেন। যা অদ্যাবধি চলমান রয়েছে। কখনও পুলিশ কখনও বা স্বসস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ৮ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা এলাকার প্রত্যান্ত অঞ্চলে অত্যান্ত সাহসিকতার সাথে দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন অদম্য এই নারী কর্মকর্তা।
তার সময়ে বিভিন্ন ভাবে কয়েক লক্ষ টাকা সরকার রাজস্ব পেয়েছে পলাশবাড়ী উপজেলার সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সচেতন মহল মনে করেন এমন কর্মকর্তারাই কেবল জাতীয় শুদ্ধচার পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য।