নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,রবিবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৮: লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় চেতনানাশক ওষুধ মেশানো নলকূপের পানি পান করে বিএনপি নেতাসহ ৯ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে শনিবার সন্ধ্যার দিকে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার বিকেলে উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদিনের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
অসুস্থরা হলেন উপজেলা সিংগীমারী ইউনিয়নের মধ্য ধুবনী গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ও ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদিন (৪৬), স্ত্রী লিপি আরা (৩২), ছেলে লিসু (১২), জয়নালের ছোট ভাই জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রনি বেগম (২৮), একই গ্রামের ইউনূসের স্ত্রী ও জয়নালের বাড়ির কাজের মহিলা শায়রা বেগম (৩৫), আহাবুদ্দিনের স্ত্রী হাওয়া বিবি (৪৫), বাবুলের স্ত্রী আনজু (২৫), রহিদুলের ছেলে ও কাজের ছেলে সাহেদ রানা (১৪) এবং মৃত হোসেন আলীর ছেলে ও কাজের লোক আফতাব উদ্দিন (৫০)।
এদের মধ্যে, জয়নাল, স্ত্রী লিপি ও তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রনিকে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জয়নালের বাড়ির কাজের লোক হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা অসুস্থ্য আফতাব উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় বাড়ির সবাই মিলে খাওয়া করি। খাওয়া শেষে যে যার কাজ করতে থাকি। এরই মধ্যে দুপুরের দিকে আমার ও বাড়ির সকলের একটু একটু মাথা ঘুরতে ও চোখে ঘুম আসতে থাকে। আমার সাথে কাজ করতে থাকা সাহেদ রানা হঠাতই অসুস্থ হয়ে পরে। আর তার মুখ দিয়ে লালা ঝরতে থাকে। এদিকে বিকেলের দিকে একে একে বাড়ির সকলেই অচেতন হয়ে পড়ে এবং তাদের মুখে লালা আসতে শুরু করে। এ সময় আমিও বুঝতে পারি আমারও সমস্যা হচ্ছে। তাই দ্রুত প্রতিবেশীদের খবর দেই। তারা ছুটে এসে আমাকে ও বাড়ির সকলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ সময় জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ধিমান রায় জানান, চেতনানাশক ঔষুধ মেশানো পানি পান করার ফলে তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেসে ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নাঈম হাসান জানান, হাসপাতালে যারা ভর্তি আছেন তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, বিষয়টি এখন শুনলাম। আমি কিছুক্ষণের মধ্যে হাসপাতালে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।