নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,মঙ্গলবার, ৩ জুলাই ২০১৮: ভাঙন রোধে আগাম ব্যবস্থা না নেয়ায় ৫ বছরের মাথায় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দৃষ্টি নন্দন হাইস্কুলটি অবশেষে যমুনা গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই স্কুলটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
মানিকগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের জেলা প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন জানান, এসইএসডিপি প্রকল্পের আওতায় ২০১২ সালের ৩০ মার্চ ১৯০ ফিট দৈর্ঘ্যের ১ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার ৬৭২ টাকা ব্যয়ে ৩ তলা বিশিষ্ট এ বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। নির্মাণ কাজের এক বছর পর ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি সরকারি ভাবে ঠিকাদারের কাছ থেকে তৎকালীন শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার গালিভ খান বুঝে নেন।
তিনি জানান, বিদ্যালয়টির নাম করণ করা হয় জমিদাতার নামে মধ্যনগর রুস্তম আলী হাওলাদার এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের চার দিকে যমুনা নদী দ্বারা বেষ্টিত চরের মাঝে নির্মাণ করা হয় দৃষ্টিনন্দন স্কুলটি। চরাঞ্চলের মানুষের ভাল পরিবেশে শিক্ষার সেবা পৌছে দিতে স্কুলটি নির্মাণ করা হয়। স্কুলটি যমুনা নদীর ভাঙনের কবলে পরে এবছরের প্রথম থেকে। কিন্তু দৃষ্টিনন্দন ওই স্কুলটি যমুনাই গিলে খেলো। অবশেষে গত সপ্তাহে স্কুলটির পুরো অংশ নদী গর্ভে তলিয়ে যায়।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মরিয়ম বেগম জানান, বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছিলেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ভাঙনরোধে তিনি কোনো উদ্যাগী ভুমিকা নিয়েছিলেন কিনা এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্কুল প্রকল্পের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু ব্যবস্থা নেয়ার আগেই তলিয়ে যায়।’
স্থানীয় তেওতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা স্কুলটি পরিদর্শন করে যান। কিন্তু ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
এদিকে শিবালয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম ফারুক জানান, ‘বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছিলাম। তিন তলা ভবন বিশিষ্ট ওই স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৭ জন। আর শিক্ষক মাত্র তিন জন। স্কুল ভবনটি চুড়ান্ত ভাঙনের মুখে এমন প্রতিবেদন দিয়েছিলাম উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।’
এছাড়া তাদের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষার কোনো বাজেটও ছিল না বলে দাবি করেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।