1. azadkalam884@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  2. bartamankantho@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  3. cmisagor@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  4. khandakarshahin@gmail.com : Khandaker Shahin : Khandaker Shahin
শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন
১১ বছরে বর্তমানকণ্ঠ-
১১ বছর পদার্পণ উপলক্ষে বর্তমানকণ্ঠ পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা....

​নরসিংদীর মাধবদীতে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে এক তরুণকে বিয়ে, অতপর…

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  • প্রকাশিত : শনিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০১৯
  • ১০ পাঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক | বর্তমাকণ্ঠ ডটকম-
১২ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার।
নরসিংদীর মাধবদীতে অভিনব কৌশলে এক তরুণকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করে এক সুন্দরী নারী। এ নারীর ফাঁদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তরুণের মা ঘুরছেন বিচারকদের দ্বারে দ্বারে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সুন্দরী নারী যশোর কোতায়ালী থানার চুরামনকাঠা এলাকার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সুর্বণা নাহার সাথী। প্রায় চার মাসে আগে অভিনব প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করে মাধবদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সানি নামে এক তরুণকে। সানি নরসিংদী সদর উপজেলা মাধবদী থানাধীন নওপাড়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে। তরুণী ঢাকার বসুন্ধরা এফব্লকের ১৪ নাম্বার রোডের ৬৪ নং হাউজে এক ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে।

সানির মা সেলিনা জানান, ছেলে প্রেম করে বিয়ে করেছে, তার বাবা মেনে নিয়েই বাড়িতে জায়গা দিয়েছিল। কিন্তু সাথী যে বিয়ে নামে প্রতারণা করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয় তা আগে জানা ছিল না। এ মেয়ে নাকি ঢাকার বিভিন্ন সঙ্গের সাথে জড়িতও রয়েছে। সানিকে অনেকভাবে নির্যাতন করে সে অনেক টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়েছে তাদের কাছ থেকে। সাথী মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে তার ছেলেকে।

তিনি আরো জানান, সাথীর সাজানো মামলার জালে বন্দি তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু প্রমাণ করতে না পাড়ায় আদালত সানি ও তাদের পরিবারকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। তার পরও সে মাধবদীতে এসে সানির সাথে ঘর-সংসার করার কৌশল অলম্বন করে তাদের বাড়িতে আসে। এ খবর জানাজানি হলে এলাকার উৎসুখ জনতা তাদের বাড়িতে ভিড় জমায়।

এ বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। পরে সাথীর বাবা-মাকে নিয়ে আসতে বলে চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। কিন্তু সে তা না করে উল্টো আরেকটি নারী নির্যাতন ও গণধর্ষণ সাজিয়ে তার চাকরিজীবী বড় ছেলেসহ মোট চারজনকে আসামি করে মাধবদী থানায় মামলা করে। মামলার ভয়ে তার ছেলেরা এখন বাড়ি ছাড়া রয়েছেন। প্রতরণাকারী এ নারী নিঃস্ব করে দিচ্ছে তাদের সংসার। যে কোন সময় তাদের বড় ধরনের বিপদে ফেলে দিবে বলেও তিনি জানান। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের নিকট সঠিক তদন্ত করে এর বিচারের দাবি জানান।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম ফয়সাল বলেন, সানীর পরিবার সাথীর বিয়টি গত ১৬ ডিসেস্বর অবগত করলে স্থানীয়দের নিয়ে বসা হয়,তাতে সাথীর বাবা-মাকে এনে এর মিমাংশা করার জন্য বলা হয় সাথীকে। তার দুই পর জানতে পাই ওই মেয়ে নকি সানিসহ চার জনের নামে একটি গণধর্ষন মামলা করেছে।

বসুন্ধরা এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনশ’ ফিট এলাকায় সাথীর বিভিন্ন সংঘ রয়েছে সে বাইকার গ্রুপের সদস্য। সানী মোটরসাইকেলে চরে তাদের ব্যবসায়ী কাজে ওই এলাকা দিয়ে যেত। প্রায় বছর খানিক আগে একটি দোকানে পরিচয় ও ফোন নাম্বার আদান-প্রদান হলে সে তার পাতানো জালে ফেঁসে যায় সানি।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, সানির সাথে বিয়ে হয়েছে তার কাবিনামায় সাথী নিজেকে কুমারী দাবি করলেও “সম্প্রতি রাজধানীতে এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেলস্ ম্যানাজার মহিবুল ইসলাম শাওন নামে এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ে করেন সুর্বণা নাহার সাথী। বিয়ের পর মোহাম্মদপুরে বসবাস করার কয়েক মাস পর বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলার এক প্রতিবেদনে চলে আসে এই সুন্দরী নারীর আসল কাহিনী”।


প্রতিবেদনে বলা হয়, যশোর থেকে এসএসসি পাস করে চাকরি খোঁজার জন্য ঢাকায় আসেন সুর্বণা নাহার সাথী পরে তার মাঝে একটি শপিং মলে পরিচয় হয় শাওনের সাথে। তার মোবাইল নম্বরে কয়েক দিন কথা বলার পর হঠাৎ ১০ লাখ টাকা কাবিন দিয়ে বিয়ে করেন দুজনে। কিন্তু ভুক্তভোগী শাওন ওই প্রতিবেদনে বলেন, এ নারী তাকে প্রতরণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন, তার কথা ও কাজের সাথে কোন মিল পাওয়া যায়নি। সাথী তার চক্রের মাধ্যমে কাবিনের টাকা দাবি করেন। তার খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। ”

প্রতিবেদনের আরো বলা হয়, সাথীর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া ছিল উচ্চ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও মডেলের কাজে জড়িত সে। এছাড়া জনপ্রিয় অভিনেতাদের সাথে ছবিও দেওয়া ছিল তার প্রোফাইলে। কিন্তু সবই প্রতরণার করার কৌশল।

এ বিষয় সাথীর সাথে কথা হলে সে জানান, সানীর বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তা আদালত দেখবে। তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান সাথী।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আবু তাহের দেওয়ান জানান, সুর্বণা নাহার সাথী নিজেই বাদী হয়ে দুটি মামলা করে সানীর পরিবারের বিরুদ্ধে। একটিতে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ও অপরটিতে তাকে গণধর্ষণ করা হয়। । এজাহারে উল্লেখ্য করা হয়েছে তার স্বামী সানি ও তার বাসুরসহ চার জন জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। তা থানায় তদন্তাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
খবর – নরসিংদী প্রতিদিন




শেয়ার করে সাথে থাকুন-

এই পাতার আরো খবর

















Bartaman Kantho © All rights reserved 2020 | Developed By

Privacy Policy

Theme Customized BY WooHostBD