পরিচয় শনাক্ত না হলে ডিএনএ পরীক্ষার পর মৃতদেহ হস্তান্তর: প্রেস উইং

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব, তাদের মরদেহ অতি দ্রুত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে যাদের তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যাচ্ছে না, তাদের মরদেহ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে পরবর্তী সময়ে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সোমবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
এতে আরও বলা হয়, আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে চিকিৎসা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে হাসপাতালগুলোর আশপাশে ভিড় না করার জন্য সাধারণ জনগণের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। পরে সেটি উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়।
এ ঘটনায় পাইলটসহ ১৯ জন নিহত এবং দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হতাহতদের অধিকাংশই শিশু এবং তারা মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী।