মোহাম্মদপুরে সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ‘পিচ্চি মুন্না’ গ্রেপ্তার

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার রায়েরবাজার এলাকায় চাঞ্চল্যকর মো. ফজলে রাব্বি সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মুন্না ওরফে পিচ্চি মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর চকবাজারের ইসলামবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, আসামি মুন্না ও হত্যাকাণ্ডের শিকার মামুন মোহাম্মদপুর পাবনা হাউস এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন। এরই সুবাদে আসামি পিচ্চি মুন্নার সঙ্গে ভিকটিমের পরিচয় হয়। এরপর মাদক বিক্রয়কে কেন্দ্র করে আসামির সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়।
র্যাব আরও জানায়, এরই জেরে ভুক্তভোগী মো. ফজলে রাব্বি সুমন আসামি মুন্নাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। পরে আসামি জামিনে বের হয়ে আসে। ফোনকলের মাধ্যমে মামুনকে ডেকে নিয়ে ধারাল চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মুন্না। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রাজধানীর লালবাগে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সংক্ষিপ্ত বিচার আদালত পরিচালনা করে ১৪ ব্যক্তিকে সাজা প্রদান করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। এই ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে সার্বিক সহায়তা প্রদান করে ডিএমপির লালবাগ বিভাগ।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার লালবাগ বিভাগের বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদক সেবন, মাদক বহন, ছিনতাইচেষ্টা এবং রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মতো অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া, অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় দুজনকে খালাস দেওয়া হয়। এই রায় প্রদান করেন ডিএমপির স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮, ডিএমপি অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। ট্রাফিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত।