সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ৭ প্রস্তাব দিলেন প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও সফলতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সংস্কার: নাহিদ রোহিঙ্গা সমস্যার উৎপত্তি ও সমাধান মিয়ানমারে: প্রধান উপদেষ্টা দেশ সংস্কার কোনো নির্দিষ্ট দায়িত্ব নয়, এটা প্রকৃতির মতোই চলবে : ড. আব্দুল মঈন খান ডা. নারায়ণ হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড বারনামাকে ড. ইউনূস জনগণ কী চায়, সেটাই বাস্তবায়নের চেষ্টা করি নির্বাচনে অংশ নেব না, সংস্কারই অগ্রাধিকার: ড. ইউনূস অতিরিক্ত আইজি হলেন পুলিশের ৭ কর্মকর্তা নির্বাচনে ৮০ হাজারের বেশি সেনা সদস্য মোতায়েন থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপেদষ্টা

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় নির্বাচনের বিকল্প নেই: রাশেদ প্রধান

ডেস্ক রিপোর্ট | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: / ১১৫ পাঠক
প্রকাশকাল সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে জাতীয় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও দলের মুখপাত্র রাশেদ প্রধান। সোমবার (৩০ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জাগপার মুখপাত্র বলেন, ‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে জাতীয় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, নির্বাচন এবং সংস্কার নিয়ে আমরা যতটা আগ্রহী, বিচার নিয়ে ততটাই উদাসীন। আমাদের দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দল,জাতীয় নেতৃবৃন্দ এমনকি হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতায় বসা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বক্তব্যে নির্বাচন এবং সংস্কার নিয়ে যত কথা শোনা যায় তার শতভাগের ১০ ভাগও বিচারের কথা শোনা যায় না।’

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর হওয়ার আগেই ‘জুলাই গণহত্যা’ ভুলতে বসেছি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা ভুলে গেছি পিলখানা গণহত্যা, শাপলা গণহত্যা, মোদীবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যা, লগি-বৈঠা গণহত্যা। আমরা ভুলে গেছি গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের।’ সংবাদ সম্মেলনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা এবং ফ্যাসিস্ট ও তার দোসরদর বিচার দাবিতে ৩ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘নির্বাচন এবং সংস্কারকে সামনে রেখে আমরা ভুলে গেছি আয়নাঘর এবং সাড়ে ১৫ বছরের দুঃশাসনের কথা। আমরা ভুলে গেছি আওয়ামী গুমের কথা, খুনের কথা, হামলা-মামলার কথা, দেশের মানুষের অর্থ ও সম্পদ লুটপাটের কথা, দেশের অর্থ বিদেশে পাচারের কথা। আমরা ভুলতে বসেছি অপরাজনীতির অশুভ শক্তি আওয়ামী লীগের কথা। আমরা ভারত কর্তৃক অতীতে সীমান্তে হত্যা, ভূমি দখল, পানির ন্যায্য হিস্যা না দেওয়া, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ভুলে গেছি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পরেও সীমান্ত হত্যা এবং ক্রমাগত অবৈধ পুশইন দেখেও না দেখার ভান করছি।’

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধটা শুধুমাত্র শেখ হাসিনা আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ছিল না। আমাদের সংগ্রাম এবং লড়াই শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সঙ্গে আগ্রাসী ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও ছিল। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নয় বরং বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানিয়ে ভারতের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতেন। গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দিল্লি সরকার আশ্রয় দিয়ে তাই প্রমাণ করেছে।’

জাগপার মুখপাত্র বলেন, ‘সবার মতামতে আমরাও সংস্কার চাই। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য এবং ভারতীয় প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চাই। একইসঙ্গে বিচার এবং ভিনদেশি প্রভুর হাত থেকে মুক্তি চাই, নাজাত চাই।’ এ সময় জাগপার পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।

৩ দফা দাবি হলো- গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় প্রদান, সীমান্তে হত্যা, ভূমি দখল, অবৈধ পুশইন, পানির ন্যায্য হিস্যা না দেওয়া, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপসহ সব বিষয়ে ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দিতে হবে। জুলাই, পিলখানা, শাপলা, মোদীবিরোধী আন্দোলন এবং লগি-বৈঠা গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করতে হবে। গুম, খুন, হামলা, মামলা, লুটেরা, অর্থপাচারকারী ও অপরাজনীতির অশুভ শক্তি সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ-এর বিচার করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সব শহিদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন রাশেদ প্রধান। পরে আগামীর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

কর্মসূচি মধ্যে রয়েছে- পহেলা জুলাই শহিদদের স্মরণে এবং৩১ জুলাই আহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল। এছাড়া জুলাই মাসের বাকি ২৯ দিন ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারএবং সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে ৮টি বিভাগীয় শহর এবং জাগপার ২০টি সাংগঠনিক জেলায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও আওয়ামী দুঃশাসনের হাত থেকে মুক্তি অর্থাৎ বাংলাদেশের নাজাত দিবসে শুকরান নামাজ পড়া, এবং গনহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার প্রতিবাদে এবং খুনি হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার দাবিতে ৬ আগস্ট ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি।


এই ক্যাটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর