দেশ সংস্কার কোনো নির্দিষ্ট দায়িত্ব নয়, এটা প্রকৃতির মতোই চলবে : ড. আব্দুল মঈন খান
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্থায়ী সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দেশ সংস্কার কোনো নির্দিষ্ট দায়িত্ব নয়। এটা প্রকৃতির মতোই চলবে। আজ আমরা যেটা সংস্কার করবো, প্রকৃতির কারণে সেটি আগামীকাল আবার সংস্কারের প্রয়োজন হবে। নরসিংদী-২ (পলাশ) নির্বাচনী এলাকা মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখেরচর মাজার বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ভিপি মনির হোসেনের সঞ্চালনায় সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন পলাশ থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন ভূঁইয়া মিল্টন।

এ অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয় এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি রাজপথে ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে ত্যাগী নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা দেন সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান। এসময় তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত পরিবারের হাতে বিএনপির পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তাও প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি মো. আলম মোল্লা, নরসিংদী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি বাবুল সরকার, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান হাসান, মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি এম এস আলম মোল্লাসহ জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আজ আমরা যারা বেঁচে আছি, তারা চিরদিন এই পৃথিবীতে থাকবো না। আগামিতে নতুন প্রজন্ম আসবে, ছাত্ররা আসবে। তবে শুধু ছাত্ররা আসলেই হবে না। ছাত্ররা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে, পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসবে। তখন আমরা তাদের নতুন করে অভিনন্দন জানাবো। ভুল করা যাবে না—যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য এখনো প্রস্তুত নয়, তারা যদি মনে করে ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনা করবে, সেটা ভুল হবে। এ ধরনের ভুলের নমুনা আপনারা এক বছরে একাধিকবার দেখেছেন। তাই ছাত্রদের প্রতি শিক্ষক হিসেবে আমি বলবো—তোমরা সঠিক পথে শিক্ষিত হয়ে দেশ পরিচালনায় আসো।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ তাদের নিজের ইচ্ছানুযায়ী যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দেবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি নির্বাচনের প্রার্থী হই তবে আমাদের জবাবদিহিতা থাকবে ভোটারদের প্রতি। আমি সতর্ক করে দিতে চাই—ভোটারদেরও আমাদের প্রতি জবাবদিহিতা রয়েছে। আমি যদি প্রার্থী হই, আর আমার ভোটার যদি টাকা খেয়ে কিংবা মিথ্যা প্রলোভনে অন্যত্র ভোট দেন, তবে আমি কিন্তু আমার ভোটারদের ছেড়ে দেব না। আমি বিশ্বাস করি, ভোটার ও রাজনীতিবিদ উভয়ের জবাবদিহিতার মাধ্যমেই সত্যিকারের গণতন্ত্র দেশে ফিরে আসবে।







