নির্বাচন না হলে রাজপথেই জবাব দেবে বিএনপি: কায়সার কামাল

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের কথা শোনা যাচ্ছে। দেশের মানুষ এর আগেই নির্বাচন প্রত্যাশা করেছিল। এটা কেবল বিএনপির দাবি নয়, বরং দেশের গণতন্ত্রকামী ও মুক্তিকামী মানুষের অভিন্ন দাবি।’
কায়সার কামাল আরও বলেন, ‘আমরা রাজপথের মানুষ, রাজপথে থাকায় অভ্যস্ত। আমরা বিশ্বাস করি, রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলরা সময়মতো নির্বাচন দেবেন। অন্যথায় জনগণের দাবি আদায়ে বিএনপি আবারও রাজপথে নামবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির বিরুদ্ধে অতীতে ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনও হচ্ছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯ দফা নিয়ে দলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, পরে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২৭ দফা এসেছে। বর্তমানে তারেক রহমান জনগণের চিন্তা ও প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন। এই ৩১ দফায় কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, শিক্ষক, ছাত্র, আইনজীবীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা রয়েছে। বলা যায়, এটি আধুনিককালের ‘ম্যাগনাকার্টা’। এই দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ গড়া হবে।’
সম্মেলন উপলক্ষে উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা থেকে হাজারো নেতাকর্মী জড়ো হন দুর্গাপুর পৌর অডিটোরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারের সামনে। দীর্ঘ ছয় বছর পর কাউন্সিল ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলম। উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ ওয়ারেছ আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ডা. রফিকুল ইসলাম হিলালী।
সম্মেলন শেষে পুনরায় জহিরুল আলম ভূঁইয়াকে দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও আব্দুল আউয়ালকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
অন্যদিকে, পৌর বিএনপির সভাপতি হিসেবে আতাউর রহমান খান ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হারেজ গণিকে নির্বাচিত করা হয়।