দুর্বলতা কাটিয়ে শরীর চাঙা করতে খেতে হবে যেসব খাবার

তিন বেলা খাওয়ার পরও অনেকেই দৈনন্দিন জীবনে দুর্বলতা অনুভব করেন। চিকিৎসকদের মতে, শুধু পেট ভরে খাওয়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কী খাওয়া হচ্ছে। কিছু খাবার আছে, যা নিয়মিত খেলে শরীরের শক্তি দ্রুত ফিরে আসে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, এমন কিছু খাবারের কথা যা দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীর হবে চাঙা ও কর্মক্ষম—
সতেজ মৌসুমি ফল ও সবজি:
প্রতিদিনের খাবারে রাখুন মৌসুমি ও বিষমুক্ত ফল-সবজি। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে।
চর্বিহীন প্রোটিন:
মাছ, মুরগি, ডিম, সয়াবিন ও ডাল—এসব প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার পেশি গঠনে সহায়তা করে। ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ যেমন স্যামন বা টুনা হৃদযন্ত্রের জন্যও উপকারী।
বাদাম ও বীজ:
কাজু, আখরোট, কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখী বীজ শক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে। এগুলোতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ফ্যাট ও পুষ্টি উপাদান।
শস্যদানা ও কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট:
ব্রাউন রাইস, ওটস, ডাল, ভুট্টা, ছোলা ও মসুর ডাল শরীরকে দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি দেয়। সাদা ময়দা ও রিফাইন্ড চিনি বাদ দিয়ে এসব স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নেওয়া ভালো।
প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন:
ফাস্টফুড বা প্যাকেটজাত খাবারে পুষ্টির পরিমাণ কম, ক্ষতির পরিমাণ বেশি। এগুলো শরীর ভারী ও দুর্বল করে তোলে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন:
পানি সরাসরি শক্তি না দিলেও শরীরের বিপাকীয় কার্যক্রম সচল রাখতে অপরিহার্য। হাইড্রেটেড থাকলে ক্লান্তি কমে এবং মনোযোগ বাড়ে।
কলা:
সহজপাচ্য এই ফলটিতে রয়েছে পটাসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট ও ভিটামিন বি৬। তাৎক্ষণিক শক্তির জন্য এটি একটি আদর্শ খাবার।
ওটস:
ওটসে রয়েছে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার। এটি ধীরে হজম হয় এবং দীর্ঘক্ষণ শক্তি জোগায়। সকালের নাশতায় দুধ বা ফলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
ভিটামিন ও খাদ্য সম্পূরক:
প্রতিদিনের খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি না মিললে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মাল্টিভিটামিন বা নির্দিষ্ট ভিটামিন গ্রহণ করা যেতে পারে। ভিটামিন ডি, বি১২, আয়রন, জিঙ্ক ও ক্যালসিয়াম শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই খাবারগুলো নিয়মিত খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান ও ঘুম নিশ্চিত করলে শরীরের দুর্বলতা কমে যাবে এবং দৈনন্দিন কাজের গতি ও মানসিক শক্তি বাড়বে।