বর্ষাকালে পেটের সমস্যা দূর করতে এড়াতে পারেন যেসব খাবার

বর্ষাকাল মানেই স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, বৃষ্টি আর সর্দি-জ্বরের মৌসুম। তবে এই সময়ে সবচেয়ে বেশি ভোগাতে পারে পেটের সমস্যা—যেমন ডায়রিয়া, বমি, পেট ব্যথা বা ফুড পয়জনিং। এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে সবচেয়ে জরুরি হল খাবারের বিষয়ে সচেতন থাকা। চলুন জেনে নেওয়া যাক, বর্ষায় কোন ধরনের খাবার এড়িয়ে চললে আপনি সুস্থ থাকতে পারেন।
১. রাস্তার খাবার নয়, ঘরের খাবারই ভরসা
বর্ষাকালে রাস্তার খাবারে পানি ও ধুলাবালি মিশে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। বিশেষ করে ফুচকা, চাট, ঝালমুড়ি, পুরি-চপ জাতীয় খাবার খাওয়ার ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি। এগুলোর মাধ্যমে জীবাণু সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
২. অপরিষ্কার পানি বা বরফ
খাবারের সঙ্গে ব্যবহৃত পানি যদি ফুটানো বা বিশুদ্ধ না হয়, তাহলে তা থেকে পেটের সংক্রমণ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। রেস্টুরেন্ট বা দোকানের ঠান্ডা পানীয় বা বরফ এড়িয়ে চলাই ভালো।
৩. কাটা ফল ও সালাদ
ফলের খোসা ছাড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ বাইরে খোলা রেখে দিলে তাতে সহজেই ব্যাকটেরিয়া জমে। তাই রাস্তার দোকানে বিক্রি হওয়া কাটা ফল, তরমুজ, পেঁপে কিংবা সালাদ খাওয়া উচিত নয়।
৪. বাসি ও পুনরায় গরম করা খাবার
বর্ষাকালে রান্না করা খাবার দ্রুত নষ্ট হয়। বাসি খাবার বা পুনরায় বারবার গরম করা খাবার খেলে পেট খারাপ হতে পারে।
৫. খোলা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
খোলা দুধ, দই বা ঘোল—এই ধরনের দুগ্ধজাত খাবার বর্ষাকালে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। এগুলো খাওয়ার আগে ভালোভাবে ফুটিয়ে বা ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করা দরকার।
৬. কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ মাছ-মাংস
বর্ষাকালে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে বেশি। তাই কাঁচা বা ভালোভাবে সিদ্ধ না করা মাছ-মাংস খেলে তা হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
সুস্থ থাকার টিপস:
সবসময় বিশুদ্ধ পানি পান করুন
বাইরে খাওয়ার আগে ভালোভাবে দেখে নিন
ভাজা খাবারও পরিমিত পরিমাণে খান
হাত ধোয়া ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
বর্ষাকালের নাজুক আবহাওয়ায় একটু অসাবধানতা পুরো সপ্তাহ নষ্ট করে দিতে পারে। তাই বেছে খাওয়া আর একটু সচেতন থাকাই হতে পারে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি।