শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
প্লট দুর্নীতির ৩ মামলায় শেখ হাসিনার বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি মেনে নিয়েছে সরকার দগ্ধ অবস্থায় আরও চার শিক্ষার্থীর মৃত্যু, নিহত বেড়ে ২৭ ‘বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জনই শিশু’ পরিচয় শনাক্ত না হলে ডিএনএ পরীক্ষার পর মৃতদেহ হস্তান্তর: প্রেস উইং বিমান বিধ্বস্ত : মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন বৈমানিক তৌকির: আইএসপিআর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নি*হ*ত বেড়ে ২০, চিকিৎসাধীন ১৭১ ঢাবিতে ছাত্রদল ও শিবিরের পাশাপাশি মিছিল-স্লোগান

বিয়ে করলেই যেসব দেশের নাগরিকত্ব পাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: / ৫৬ পাঠক
প্রকাশকাল মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫

পৃথিবীর অনেক দেশে স্থায়ীত্ব হতে বা নাগরিকত্ব পেতে স্বপ্ন দেখেন আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ। তবে সব দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ না। একক দেশের নাগরিকত্ব পেতে একেক নিয়মের মধ্যে যেতে হয়। এসব নিয়মের মধ্যে অন্যতম একটি হলো বিয়ে।

পৃথিবীর কিছু কিছু দেশের নাগরিকদের বিয়ে করলে ওই দেশের নাগরিত্ব মেলে। চলুন জেনে নিই, কোন কোন দেশ তাদের নাগরিককে বিয়ে করার মাধ্যমে বৈধ উপায়ে নাগরিকত্ব দেয়।

তুরস্ক:
তুরস্কে বিয়ের পর তিন বছর একসঙ্গে থাকলেই নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। এ ছাড়া তুরস্কের নাগরিক হলে আপনি পাবেন এক বিশেষ সুবিধা। তুরস্কের পাসপোর্ট দিয়ে পৃথিবীর ১১০টিরও বেশি দেশে ভিসা ফ্রি বা ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা পাওয়া যায়।

স্পেন:
দক্ষিণ ইউরোপের সবচেয়ে বড় দেশ স্পেন। ওই দেশের আইনে বলা আছে, স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ে করে তার সঙ্গে এক বছর বসবাস করলেই স্পেনের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে। নাগরিকত্ব পেয়ে গেলে আপনি লাতিন আমেরিকা, ফিলিপাইন, পর্তুগাল ইত্যাদি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা পাবেন। তবে নাগরিকত্বের জন্য আপনার লাগবে বিয়ের বৈধ সনদ ও একসঙ্গে বসবাসের প্রমাণ।

আর্জেন্টিনা:
আর্জেন্টিনার কোনো নাগরিককে বিয়ে করলে মাত্র দুই বছর পরই নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বৈধ বিয়ের প্রমাণের পাশাপাশি লাগবে সেই দেশে কোনো অপরাধ না করার প্রমাণ ও সাধারণ স্প্যানিশ ভাষার জ্ঞান।

মেক্সিকো:
মেক্সিকোর আইন অনুযায়ী, একজন মেক্সিকান নাগরিককে বিয়ে করলে তার সঙ্গে মাত্র দুই বছর বসবাস করলেই দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে। তবে এর জন্য থাকতে হবে স্প্যানিশ ভাষার মৌলিক দক্ষতা, বিয়ের বৈধ সনদ ও একসঙ্গে বসবাসের প্রমাণ।

সুইজারল্যান্ড:
সুইজারল্যান্ড সাধারণভাবে কঠোর অভিবাসন নীতির দেশ হলেও বৈধ বিয়ের মাধ্যমে দেশটিতে নাগরিকত্বের সুবিধা পাওয়া যায়। প্রক্রিয়াটি বেশ সহজও বটে। স্বামী বা স্ত্রী যদি সুইস নাগরিক হন এবং যদি তিন বছর একসঙ্গে থাকেন, তাহলে পাঁচ বছর বসবাসের পর আপনি নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। যদি দেশের বাইরেও থাকেন, তারপরও ছয় বছরের বিবাহিতকাল অতিক্রান্ত হলেই আবেদন করতে পারবেন। সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্বের প্রক্রিয়া সাধারণত বেশ দ্রুত সম্পন্ন হয়। একবার এই দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে গেলে ইউরোপে বসবাসের সুযোগও পাবেন। আবেদনের জন্য লাগবে সুইজারল্যান্ডের ভাষা, সংস্কৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানা; যেকোনো অপরাধমূলক কাজে যুক্ত না থাকার রেকর্ড ও বৈধ দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় আছে, এমন প্রমাণ।

কেপ ভার্ড:
কেপ ভার্ড প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পশ্চিম আফ্রিকার একটি দ্বীপরাষ্ট্র। এখানকার নাগরিককে বিয়ের পরই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে বৈধভাবে কেপ ভার্ডের নাগরিককে বিয়ে করতে হবে।


এই ক্যাটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর