শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বিএনপিকে ধ্বংস করতে গিয়ে আ. লীগই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে : ড. আব্দুল মঈন খান নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিএনপিতে ক্ষুব্ধ ভোটাররা চান দুর্নীতিমুক্ত প্রার্থী গাজার পথে মুক্তি পাওয়া ১৯৬৬ ফিলিস্তিনি তরুণ কৃষি-উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্যের মূল্যায়নে বাংলাদেশের দুই বিমানবন্দর শীর্ষে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’: ১৫ সেনা কর্মকর্তা ‘হেফাজতে’ ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার বর্ণনা দিলেন শহিদুল আলম এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টা জাতীয় পার্টির সমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

লক্ষ্মীপুরে ক্লিনিকের ভেতরে নার্সকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত চিকিৎসক কারাগারে

ডেস্ক রিপোর্ট | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: / ১১ পাঠক
প্রকাশকাল সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় অবস্থিত আল-আরাফাহ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একজন নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নার্স বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
ভুক্তভোগী নার্স অন্য একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কর্মরত।

অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম আহসান হাবিব। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ। তিনি রাজশাহীতেই থাকেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত গভীর রাতে রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুর এলাকায় অবস্থিত আল-আরাফাহ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এমবিবিএস চিকিৎসক আহসান হাবিব প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চিকিৎসক আহসান হাবিব তাকে আল-আরাফাহ ক্লিনিকে নিজের চেম্বারে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে তার অভিযোগ।

এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, দুই বছর আগে ভুক্তভোগী নার্স ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। তখন ফেসবুকের মাধ্যমে অভিযুক্ত চিকিৎসকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকার চাকরি ছাড়িয়ে ওই নার্সকে রাজশাহী আনেন চিকিৎসক। এরপর বিয়ে না করে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে শারীরীক সম্পর্ক চালিয়ে যান। সবশেষ ক্লিনিকে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি। সম্পর্ক চালিয়ে গেলেও ওই চিকিৎসক তাকে বিয়ে করেননি। একপর্যায়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ভুক্তভোগী শুনেছেন, তিনি বিয়ে করে ঘর সংসার শুরু করেছেন।

এ নিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর নগরের রাজপাড়া থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী নার্স। পরে রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে আল-আরাফাহ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেদিনই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আলিম জানান, ঘটনার পর ভুক্তভোগী নার্স রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা ও শারীরীক পরীক্ষা শেষে তিনি মামলা করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মামলা হওয়ার পর রোববার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে বিকেলেই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি মামলাটির তদন্ত শুরু করেছেন।

আল-আরাফাহ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। মামলায় ঘটনাস্থল হিসেবে আমাদের ক্লিনিকের নাম আছে বলে জেনেছি। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই ডা. আহসান হাবিবকে ক্লিনিক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।


এই ক্যাটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর