নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম:বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ ২০১৮:
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে বাংলাদেশ। এ অর্জন আত্মমর্যাদার, অহঙ্কার ও গৌরবের। তাই আনন্দের বন্যায় ভাসছে রাজধানীসহ পুরো দেশ।
এ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উৎসব বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) শুরু হয়েছে। চলবে ২৮ মার্চ পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সংবর্ধনা দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এছাড়া দুপুরের পর রাজধানীর বিভিন্ন স্পট থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়।
বিকেলে রাজধানীর ৯টি পয়েন্ট থেকে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তাদের অধীনস্ত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষ আনন্দ শোভাযাত্রা করে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে তা উপভোগ করবেন। সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ দেশের সাধারণ মানুষও উপস্থিত থাকবেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে শুরু হয় শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাগুলো বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় দেখা গেছে, সুসজ্জিত বাদকদল, ঘোড়ার গাড়ি। বিশাল ব্যানার নিয়ে গায়ে বর্ণিল টি-শার্ট, মাথায় ক্যাপ দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে হাতে শোভা পাচ্ছিল ফেস্টুন। টি-শার্ট, ক্যাপ, ব্যানারে শ্লোগান ছিল- ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ।’
শোভাযাত্রার ফেস্টুনে ছিল সরকারের উন্নয়নের নানান শ্লোগান- ‘সকল সূচকের উন্নয়নে বিশ্বে রোল মডেল বাংলাদেশ’, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের অভিযাত্রায় বাংলাদেশ’, ‘টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার অর্জনের পথে বাংলাদেশ’, ‘ডিজিটাল যুগ, জনগণের সুখ’, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ’, ‘হাতে রেখে হাত, উন্নয়নের ডাক’, ‘স্বপ্ন পূরণের উৎসবে আজ দেশ’, ‘বাংলাদেশ আজ দুর্বার, রুখবে তাকে সাধ্য কার’ ইত্যাদি।
স্টেডিয়ামে সন্ধ্যায় লেজার শো ফায়ারওয়ার্কসহ এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানটি সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
শোভাযাত্রা অংশে নেয়া ব্যাংক কর্মকর্তা মসিউর রহমান ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন অার গরীব দেশ নয়। অামরা এখন উন্নয়নশীল দেশ। এটা অামাদের গর্বের বিষয়। তাই এ স্বীকৃতিকে উদযাপন করে বিশ্বকে জানান দিতে চাই অামরা অপ্রতিরোধ্য।’
শোভাযাত্রার বিভিন্ন পয়েন্টগুলো হলো-
রাজধানীর বাংলা একাডেমি ও সংলগ্ন এলাকায় সমবেত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সেতু বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, জাতীয় সংসদ সচিবালয় ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শোভাযাত্রাটি বাংলা একাডেমি-দোয়েল চত্বর-আব্দুল গণি রোড-জিপিও হয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পশ্চিম ফটক দিয়ে ঢুকবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমবেত হয় শিল্পকলা একাডেমি ও মৎস্য ভবন সংলগ্ন এলাকা। এ শোভাযাত্রাটি শিল্পকলা একাডেমি-মৎস্য ভবন-কদম ফোয়ারা-প্রেসক্লাব-পল্টন-বায়তুল মোকাররম হয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের উত্তর ফটক দিয়ে ঢুকবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শিশু একাডেমি ও দোয়েল চত্বর সংলগ্ন এলাকা থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের উত্তর ফটক দিয়ে ঢুকবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন এলাকায় সমবেত হয়ে শোভাযাত্রাটি জাতীয় স্টেডিয়ামের উত্তর ফটক দিয়ে ঢুকবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠ ও সংলগ্ন এলাকায় সমবেত হয়ে দোয়েল চত্বর-আবদুল গণি রোড-জিপিও হয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পশ্চিম ফটক দিয়ে ঢুকবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নগর ভবন এলাকায় সমবেত হয়ে শোভাযাত্রা নিয়ে নগর ভবন-গোলাপশাহ মাজার-গুলিস্তান মোড়-রাজউক ভবন হয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পূর্ব ফটক দিয়ে ঢুকবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রমনা পার্কের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে সমবেত হয়ে মৎস্য ভবন-কদম ফোয়ারা-প্রেসক্লাব-পল্টন-বায়তুল মোকাররম হয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের উত্তর ফটক দিয়ে ঢুকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাংলাদেশ ব্যাংক চত্বর এলাকায় সমবেত হয়ে শোভাযাত্রা নিয়ে দৈনিকবাংলা মোড় হয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পূর্ব ফটক দিয়ে ঢুকবে। শিল্প মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শিল্প ভবন চত্বর এলাকায় সমবেত হয়ে শিল্প ভবন হয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পূর্ব ফটক দিয়ে ঢুকবে।