খেলাধুলা ডেস্ক । বর্তমানকণ্ঠ ডকম
বয়স চল্লিশ ছুই ছুই। জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন বেশ আগেই। ক্রিকেটে তাঁকে ‘বুড়ো’ বলাই যায়। আর এই ‘বুড়ো’ শহীদ আফ্রিদিতেই জয়ের মুখ দেখলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
রবিবার (৬ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে কুমিল্লার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ সিলেট সিক্সার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠান।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরের পথে ধরেন লিটন কুমার দাস। পঞ্চম ওভারে তৌহিদ হৃদয়ের সাথে ভুল বোঝাবোঝি এবং থার্ড আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে রানআউট হন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। ৩ চারের মারে খেলেন ১৪ রানের ইনিংস।
ওয়ার্নারের চলে যাওয়ার পর আফিফ হোসেন ধ্রুব আক্রমণাত্বক ব্যাটিং শুরু করলেও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেন নি। তিনি দলীয় পঞ্চাশের আগেই, ব্যক্তিগত ১৯ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন। তিন নাম্বারে নামা হৃদয় মাত্র ৮ রান করতে খেলেন ২৪টি বল!
এদিন ব্যর্থ হন দেশীয় তারকা ক্রিকেটার সাব্বির রহমানও। ইনিংসের প্রথম ছক্কা হাঁকালেও মাত্র ৫ বলে ৭ রানেই থামে তার ইনিংস। তবে তবে ষষ্ঠ উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়ে দলীয় সংগ্রহকে শতক পার করান নিকোলাস পুরান এবং অলক কাপালি। পাঁচ চারের সাথে দুই ছক্কার মারে ২৬ বল খেলে ৪১ রান করেন পুরান। কাপালির ব্যাট থেকে ১ ছক্কার মারে ১৯ রান। শেষদিকে তাসকিন আহমেদের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান।
বহু কষ্টে ১২৭ রান তুলে সিলেট। কুমিল্লার পক্ষে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ শহীদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন।
১২৮ রানের ছোট এ লক্ষ্য অনায়াসেই টপকে যাওয়ার কথা ছিল কুমিল্লার। তবে সিলেটের বোলারদের তোপের মুখে তা সহজ হলনা। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ইনিংসের ১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে কুমিল্লা।
এভিন লুইস আর তামিম ইকবালের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে মাত্র ১৬ রান। লুইস মাত্র ৫ রান করে আল আমিন হোসেনের শিকার হন।
এরপর ইমরুল কায়েস আশা জাগাতে এলেও মোহাম্মদ ইরফানের বলে শূন্য রানেই বোল্ড হন। সিলেটর আশা-ভরসার সবচেয়ে বড় প্রতীক স্টিভেন স্মিথ তার নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ১৭ বলে ১৬ রান করে আল আমিনের দ্বিতীয় শিকার তিনি।
এরপর শোয়েব মালিক আর এনামুল হক বিজয়কে সন্দ্বীপ লামিচানে সাজঘরে ফেরান। মালিক করেন ২০ বলে ১৩ রান, বিজয় ৫ বলে ৫।
সবাই যখন আসা-যাওয়া করছেন তখন হাল ধরে ছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তিনি যখন ৩৪ বলে ৩৫ রান করে চলে যান তখন বিপদেই পড়ে কুমিল্লা।
তবে কুমিল্লাকে বিপদ থেকে টেনে ধরেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক সময়ে মাঠ কাপানো অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি।পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার ২৫ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় হার না মানা ৩৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন।