এ কে আজাদ, ব্যুরো প্রধান, বর্তমানকন্ঠ ডটকম চাঁদপুর : চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব ও কচুয়া উপজেলার মোট ৪০টি গ্রামে আরব দেশ সমূহের সাথে মিল রেখে ঈদ উল আযহা উদযাপিত হচ্ছে।
আজ শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকাল সোয়া ৮টায় ঈদের নামাজের প্রথম জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের হাফিজিয়া মাদ্রাসা মসজিদে।
এতে ইমামতি করেন দরবরা শরীফের বর্তমান পীর মাওলানা মুফতি মো. আরিফ চৌধুরী। নামাজ শেষে বৈশি^ক মহামারি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি, দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
এরপরে চাঁদপুরে আগাম ঈদ প্রচলনকারী মরহুম পীর মাওলানা ইছহাক (রহ.) এর অনুসারীরা অন্যান্য গ্রামে পর্যায়ক্রমে ঈদের নামাজ আদায় করেন এবং কোরবানি পশু জবাই করেন।
১৯২৮ সাল থেকে তৎকালীন পীর মাওলানা ইছহাক (রহ.) আগাম দুই ঈদ ও রোজা রাখার প্রচলন শুরু করেন। প্রথমে সাদ্রা গ্রামের এই রীতি চালু থাকলেও পরবর্তীতে চাঁদপুর জেলার বাকী ৪০টি গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপন হয়ে আসছে।
গ্রাম গুলো হচ্ছে : হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, বেলচো, জাঁকনি, প্রতাপপুর, গোবিন্দপুর, দক্ষিণ বলাখাল। ফরিদগঞ্জ উপজেলার-সেনাগাঁও, বাসারা, উভারামপুর, উটতলী, মুন্সিরহাট, মূলপাড়া, বদরপুর, পাইকপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, কাইতাড়া, নুরপুর, শাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, চরদুখিয়া, মতলব দক্ষিণ উপজেলার দশআনী, মোহনপুর, পাঁচআনী, কচুয়া উপজেলার উজানি গ্রামসহ এসব উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আংশিক এলাকায়।