ডেস্ক রিপোর্ট:
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসেছে জনি হোসেন কাব্যের ছয়টি গ্রন্থ। বইগুলো হচ্ছে- ‘জনপ্রিয় লেখকদের অদ্ভূত কাণ্ডকাহিনি’, ‘বিশ্বসেরা রূপকথার গল্প’, ‘বোতলকাণ্ড’, ‘ছড়ামর্শ (বর্ধিত কলেবরে ২য় মুদ্রণ)’, ‘বর পালালো’ এবং ‘হানাদার তাড়ানো বটগাছ’।
জনপ্রিয় লেখকদের অদ্ভূত কাণ্ডকাহিনি মধ্যে রয়েছে, দেশি-বিদেশি জনপ্রিয় লেখকদের সাহিত্যে আসার গল্প, প্রথম লেখা ছাপা হওয়ার ঘটনা, প্রথম বই প্রকাশের কাহিনি, পাঠকপ্রিয় সাহিত্যকর্মের পেছনের ইতিহাস, প্রেমনামা ও বিয়েকাণ্ড। এ বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার ৬৯৮ নম্বর স্টলে।
বিশ্ব সেরা রূপকথার গল্পে রয়েছে খুবই সহজ ও পরিচিত শব্দে পুরো পৃথিবী থেকে বাছাই করা জনপ্রিয় রূপকথার গল্পগুলো। প্রায় সকল গল্পেই রয়েছে কৌতূহল জাগানো ঘটনা, টানটান উত্তেজনা, নাটকীয়তার স্বাদ ও শেষে এসে শিক্ষণীয় বার্তা। এ বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার ৬৯৮ নম্বর স্টলে।
বোতলকাণ্ড বইয়ে রয়েছে ৫টি ছোট গল্প। এখানে ছোটদের সুন্দর সুন্দর শিখনের গল্প। এই গল্পের বইয়ে ছোটদের নতুন মাত্রা এনে দিবে, ভাবিয়ে তুলবে, আন্দোলিত করবে। এ বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার ৬৯৮ নম্বর স্টলে।
বর্ধিত কলেবরে নতুন রূপে নতুন সাজে ‘ছড়ামর্শ’র দ্বিতীয় মুদ্রণ প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে নতুন ৩টি অধ্যায় ও মাস্টারপিস আরও কিছু ছড়া যোগ করার কারণে পৃষ্ঠাসংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে বলে জানান। এই বইয়ে ছড়ার আকার, প্রকার, চলন-বলন, গঠন, উপাদান, নিয়ম, কৌশল, পরামর্শ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খুবই সহজ ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। এই বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার ৬৯৮ নম্বর স্টলে।
বর পালালো হচ্ছে প্রিয় বাংলা পাণ্ডুলিপি পুরস্কারপ্রাপ্ত ছড়ার বই। শিশু-কিশোরদের চাহিদা মেটানোর মতো অনন্য একটি উপহার। সহজ-সরল ও পরিচিত শব্দে লেখা বইটির প্রতিটি ছড়ার বিষয়বস্তু এবং উপস্থাপনে রয়েছে বৈচিত্র্যতা। এ বইয়ে লেখকের বাছাই করা সেরা ৩০টি ছড়া সংকলিত হয়েছে। ছড়ার ভাঁজে ভাঁজে তুলে ধরা হয়েছে শিশুকিশোরদের মনের প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত ভাবনাগুলো। এ বইটি ঢাকা বইমেলার প্রিয় বাংলার ২২৩-২২৪ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
হানাদার তাড়ানো বটগাছ হচ্ছে অক্ষরবৃত্ত পাণ্ডুলিপি পুরস্কারপ্রাপ্ত বই। যেখানে সংকলিত হয়েছে কিশোর উপযোগী মুক্তিযুদ্ধের গল্প। মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোরদের অবদানগুলোই স্মরণ করিয়ে দেবে এ বই। বইটি পাওয়া যাচ্ছে অক্ষরবৃত্তর ১৮০ নম্বর স্টলে।
জনি হোসেন কাব্যের জন্ম ৫ মার্চ ১৯৯৬, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে, নানা বাড়িতে। বাবা মফিজুর রহমান ও মা আমেনা বেগমের মেঝো ছেলে তিনি। গত বছর মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ থেকে অনার্স শেষ করেছেন। পঞ্চম শ্রেণিতেই লেখালেখির হাতেখড়ি। পরবর্তিতে জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, নয়া দিগন্ত, বাংলাদেশ সময়, পূর্বদেশ, সোনারদেশ, ভোরের কাগজসহ স্থানীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, পাক্ষিক, ষান্মাসিক এবং বার্ষিক পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেন। পাশাপাশি মাসিক শিশু-কিশোর ম্যাগাজিন ‘ভোঁদৌড়’ সম্পাদনা করছেন। এ পর্যন্ত তার বইয়ের সংখ্যা ১৪টি।