চবি,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামী ও বামপন্থি শিক্ষকদের প্যানেল ‘হলুদ’ দলের ভরাডুবি হয়েছে। অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক ক্যাটাগরির মধ্যে শুধুমাত্র প্রভাষক ক্যাটাগরিতেই জয়ী হয়েছেন (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) আওয়ামী ও বামপন্থি ‘হলুদ’ দলের প্রার্থী।
বাকী তিনটি ক্যাটাগরির মধ্যে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে বিএনপি-জামায়াতপন্থি ‘সাদা’ দলের প্রার্থী ও সহকারী অধ্যাপক পদে ‘হলুদ’ দলের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার (০৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন শেষে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. কামরুল হুদা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়ামে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ১১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ‘সাদা’ দলের প্রার্থী দর্শন বিভাগের ড. মোজাফফর আহমদ চৌধুরী, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলুদ দলের পরিসংখ্যান বিভাগের মো. এমদাদুল হক পেয়েছেন ৯১ ভোট। সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ‘সাদা’ দলের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ড. মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন ৮৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ‘হলুদ’ দলের ইংরেজি বিভাগের সুকান্ত ভট্টাচার্য ৫১ ভোট পান।
তবে সহকারী অধ্যাপক পদে ‘হলুদ’ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শাহাদাত আল সজীব ১০৪ ভোট পেয়ে, হলুদ দলের সমাজতত্ত্ব বিভাগের মুহাম্মদ রিদোয়ান মোস্তফাকে (৯২ ভোট) পরাজিত করেন।
অন্যদিকে, প্রভাষক ক্যাটাগরিতে ‘সাদা’ দলের কোনও প্রার্থী না থাকায় ‘হলুদ’ দলের ব্যবস্থপনা বিভাগের সেতু রঞ্জন বিশ্বাস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
তবে সিন্ডিকেট নির্বাচনে আওয়ামীপন্থিদের ভরাডুবি হলেও একই দিন একাডেমিক কাউন্সিল ও ফাইন্যান্স কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে ৭টি পদেই জয় পেয়েছে ‘হলুদ’ দল। একাডেমিক কাউন্সিলের সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক; এই তিন ক্যাটাগরির দুটি করে মোট ৬টি পদ রয়েছে।
এর মধ্যে সহযাগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে হলুদ দলের আইন বিভাগের নির্মল কুমার সাহা (২৯৫ ভোট) ও অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ড. মো. সাইদুল ইসলাম (৩৮৫ ভোট) নির্বাচিত হয়েছেন।
সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোহাম্মদ শাহ আলমগীর (৩৪০ ভোট), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সুলতানা সুকন্যা বাশার এবং প্রভাষক ক্যাটাগরিতে রসায়ন বিভাগের মরিয়ম ইসলাম ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. মাহবুব হাসান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া ফাইন্যান্স কমিটিতে ‘হলুদ’ দলের ব্যবস্থপনা বিভাগের অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ আগিকুর রহমান ৩৮৯ ভোট পেয়ে ‘সাদা’ দলের মার্কেটিং বিভাগের ড. মোহাম্মাদ তৈয়ব চৌধুরীকে পরাজিত করেছেন।