রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন

রাতে হাতাহাতিতে জড়ালেন বদরুন্নেসা কলেজ ছাত্রলীগ

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৬৪ পাঠক
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে ছাত্রলীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্র সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে অন্য সবার সঙ্গে শপথও নিয়েছেন। কিন্তু সমাবেশ শেষ করে সন্ধ্যায় হোস্টেলে প্রবেশের সময়ই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।

রাজধানীর সরকারি বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ–পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সেলিনা আক্তার শেলী এবং শাখা সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় উপ–সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক হাবীবা আক্তার সাইমুনের গ্রুপের মধ্যে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

সাইমুনের অভিযোগ, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শেলীর নেতৃত্বে তাঁর (সাইমুন) কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছেন। তবে এ অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন শেলী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, কলেজের গেট হয়ে হোস্টেলে ঢুকতে হয়। হোস্টেল প্রবেশের সময় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রথমে কথা–কাটাকাটি হয়। পরে সেটি হাতাহাতিতে গড়ায়। ঘটনাস্থলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিনা আক্তার শেলীও উপস্থিত ছিলেন।

হাবীবা আক্তার সাইমুনের অভিযোগ, শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফা আক্তার শ্রাবণী, ছাত্রলীগ কর্মী হাফসা, ওহি ও লাবনীর নেতৃত্বে তাঁর কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ হামলায় ইন্ধন দিয়েছেন শেলী।

সাইমুন গণমাধ্যমে বলেন, ‘শেলী সরাসরি উপস্থিত ছিল। তার উপস্থিতিতে আমার কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমার কর্মীদের ৬–৭ জন আহত হয়েছে। সামাজিক কারণে তাদের নাম–পরিচয় বলছি না। একজনের মোবাইলও ভেঙে ফেলেছে শেলীর কর্মীরা।’

এ অভিযোগের বিষয়ে শেলী বলেন, ‘আমি যখন শুনেছি হোস্টেলে ঢোকার সময় এ রকম সমস্যা হয়েছে তখন সঙ্গে সঙ্গে নিচে গিয়ে সমাধান করে দিয়েছি। যার মোবাইল ভেঙে গেছে তার মোবাইল ঠিক করে দেব বলেছি। আমি কোনো হামলা করিনি, হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমার ব্যাপারে তার (সাইমুন) অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। হোস্টেলে যারা মেট্রোন (কেয়ারটেকার) রয়েছে তাদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন। তারা বিষয়টি দেখেছেন।’

হোস্টেলের মেট্রোন তাহমিনা খাতুন বলেন, ‘দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। সিরিয়াস কোনো সমস্যা হয়নি। হাতাহাতির একপর্যায়ে সভাপতি সেলিনা আক্তার এসে থামিয়ে তাঁর অনুসারীদের নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *