৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভবনের নিচতলায় চাঁদপুর জেলা পরিষদ এর আয়োজনে ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনায় আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী। তিনি বক্তব্যে বলেন, আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হতো। তিনি সবসময় বাংলার মানুষের কথা বলেছেন। তিনি চেয়েছেন একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, চাঁদপুরের মানুষের আস্থার ও বিশ্বাসের স্থান হলো চাঁদপুর প্রেসক্লাব। সাংবাদিকদের সেই আস্থার জায়গাটি ধরে রাখতে হবে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানাতে হবে। এর জন্য সাংবাদিকদের জোড়ালো ভূমিকা রাখতে হবে।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সাথেই রয়েছে গণমাধ্যম। গনমাধ্যম একটি রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন। ৭ মার্চ ইচ্ছা করলেই একটি হ্যান্ড মাইক, মোবাইল, টিভি, রেকর্ডার ছিল না। আবুল খায়ের ৩০ মিনিট মঞ্চের নিচে পুরো সময় ক্যামেরা নিয়ে শুয়ে ভাষনটি রেকর্ড করেছিলেন। তার জন্যই আজও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষন মানুষ শুনতে পায়। বঙ্গবন্ধু সংবাদ মাধ্যমকে একটি প্রক্রিয়ায় আনতে চেয়েছিলেন। গনমাধ্যম শক্তশালী হলে সমাজের অপশক্তিগুলো কমে আসবে।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জীবন, কাজী শাহাদাত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, এএইচএম আহসান উল্ল্যাহ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, ক্রীড়া সম্পাদক ফারুক আহমেদ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য শওকত আলী, মোশাররফ হোসেন লিটন, চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল ইমরান শোভন, সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ, বাংলাদেশ জেলা ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সদস্য মিজানুর রহমান লিটন, এনটিভির চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম।
সাংবাদিকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম মুদ্রার এপিট ওপিট। তিনি সাংবাদিকতা বলতেন কাগজ। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গণমাধ্যম একজন পরামর্শদাতা হারিয়েছেন। কারণ তিনি সবসময় গণমাধ্যমের কথা ভাবতেন। তবে যখন কাগজের স্বাধীনতা ছিল না, তখন বঙ্গবন্ধু মাত্র ৪টি পত্রিকা ছাড়া সকল পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি সবসময় কাগজের স্বাধীনতার কথা বলতেন।