এ কে আজাদ, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, চাঁদপুর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় চাঁদপুরের হাইমচরের বিভিন্ন চরাঞ্চালের করোনায় কর্মহীন দিনমজুর ও জেলে পরিবারের মাঝে হটলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে শিক্ষা মন্ত্রী ডা.দীপু মনি এমপি পক্ষ হতে পৌঁছানো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী।
গত ৫এপ্রিল থেকে ২টি হটলাইনের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবীরা কলরিসিভ করে নির্ধারিত ঠিকানায় খাদ্য সমাগ্রী পৌছে দিচ্ছেন । ৫০জন তরুণ স্বেচ্ছাসেবী ২৫টি মোটর সাইকেলের মাধ্যমে অসহায়দের বাড়ী বাড়ী প্রধানমন্ত্রীর উপহার পৌছানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত গত ২৪দিনে হটলাইনের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কল সেন্টারের দায়িত্বে থাকা দীপু পাটওয়ারী বলেন, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রায় ৩শ’ থেকে ৪শ’ টি পরিবার আমাদের কল সেন্টারে ফোন দিয়ে থাকেন। আমরা তাদের নাম ঠিকানা খাতায় লিপিবদ্য করে ও মোবাইলের মাধ্যমে ঠিকানা যেনে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়ে আসছি।
মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমাদেও সাংসদ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির পক্ষ ও তার দিক নির্দেশনায় এ উদ্যোগ নেন হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারী।
হাইমচর উপজেলা পরিষদ সুত্রে জানা যায়,হাইমচরে প্রায় ১৬ হাজার জেলে রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় জেলেরা দুমাস ধরে বেকার পড়ে আছেন। কিন্তু এসব জেলেদের মধ্যে সরকারি খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন ১০ হাজার জেলে। বাকি জেলেরা খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়ে যাচ্ছেন। তবে সরকারি ভাবে এদের কেউ কেউ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ত্রাণ সামগ্রী পেলেও অনেকেই এখনো বঞ্চিত রয়েছেন বলে দাবি করা হয়।
হাইমচরের ছোট লক্ষীপুর গ্রামের কর্মহীন হয়ে পড়া দিনমজুর সফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার ভয়ে ঘর থেকে বের না হয়ে খেয়ে না খেয়ে ছিলাম। তবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারীর সেখানে মোবাইলে ফোন দিয়া চাউল, ডাল পাইছি।
হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী বলেন, আমরা গত মার্চ মাসে প্রথম ধাপে হাইমচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের কর্মহীন হয়ে পড়া ২ হাজার ৭৫০ পরিবারে প্রায় ৩২ লাখ টাকার খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছি। প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল,২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ২ কেজি পেয়াজ, ২ কেজি আটা, ১ কেজি চিনি. ১ কেজি লবন, ১ কেজি তেলসহ অন্যান নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করেছি। কিন্তু এভাবে খাদ্য সহায়তা দিতে গিয়ে লোকজনের সমাগম ঘটায় সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখা কস্টকর হয়। এ জন্য পরবর্তীতে
গত ৫ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ধাপে ২টি হটলাইনের মাধ্যমে ৫০জন স্বেচ্ছাসেবীর সহযোগিতায় বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করি। তবে আমরা হটলাইনে যোগাযোগকারী প্রতি পরিবারে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু ও ১ কেজি পেয়াজ দিচ্ছি। যা এখনো চলমান রয়েছে। আমাদের স্থানিয় সাংসদ মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির নির্দেশ করোনা মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হাইমচরে এ খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে।