ডেস্ক রিপোর্ট:
অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় চলতি মাসের শুরুর দিকে ট্রলার ডুবির ঘটনায় অন্তত ২২ জন রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ। এঘটনার পরও থামছে না সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা।
সর্বশেষ শুক্রবার (ফেব্রুয়রি) রাতেও ২১ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১২ জন নারী ও নয়জন পুরুষ। উদ্ধারকৃতরা সবাই কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী বলেন, রোহিঙ্গা নাগরিকদের বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে শরণার্থীশিবির থেকে বের করে আনছে একশ্রেণির দালালচক্র। রাতে তাদের সাগরে অপেক্ষমাণ বড় জাহাজে তুলে দেওয়ার কথা বলে বাহারছড়ার বিভিন্ন এলাকায় জড়ো করা হয়। এ তথ্য পেয়ে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। অভিযানে ১২ নারী ও ৯ জন পুরুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও দালালচক্রের লোকজনকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) তাদের যেকোনো সময়ে নিজ নিজ রোহিঙ্গা শিবিরে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।
গত বছরের ১ মার্চ থেকে আজ শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মহেশখালী, উখিয়া, টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন থেকে ৪৪ দফায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ১ হাজার ৭৯ জন শিশু নারী ও পুরুষকে উদ্ধার করা হয়েছেন। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ নারী। এসব ঘটনায় ৪৬ জন দালালের সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। এতে তিনজন রোহিঙ্গা ও ছয়জন বাংলাদেশি।