বিদ্যুতের মূল বৃদ্ধি সাময়িক জানিয়ে তা মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আজকে বিদ্যুৎ আর পানির সেবা পেতে আপনাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না, শেখ হাসিনার আমলে। এই শহরে পানি আর বিদ্যুতের হাহাকার লেগে থাকতো। এই হাহাকার যেনো আর কখনো না হয়। এই পানি আর বিদ্যুতের সরবরাহ যাতে অব্যাহত থাকে যাতে মুজিববর্ষে…। এখন ৯৬ ভাগ মানুষ বিদুৎ সেবা পাচ্ছে। মুজিববর্ষে শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ১০০ ভাগ লোকের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আমরা পৌছে দিব ইনশাআল্লাহ।’
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও রোডস্থ হাতিরপুল ফিকামলি সেন্টারে শহীদ সেলিম-দেলোয়ার দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে বিদ্যুতের প্রাইজ অ্যাডজাস্টমেন্ট করার জন্য, উৎপাদন খরচ মূল্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে আপনাদের কাছে আরও সহজলভ্য করার জন্য ৫ থেকে ৮ টাকা মূল্য বাড়াতে হচ্ছে, এটা সাময়িক। এটা শতভাগের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর জন্য সাময়িক একটু কষ্ট হবে। কিন্তু এরপরও বিদ্যুতের জন্য সরকারকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দিতে হবে। এই ভর্তুকি কমানোর জন্য
বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ মেটানোর জন্য সাময়িক ভাবে এই দুর্ভোগটা আপনারা মেনে নিবেন।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের দীর্ঘ স্থায়ী সমাধানের জন্য সাময়িক এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আরও সহজলভ্য করার জন্য সাময়িক ভাবে একটু মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। আমি আশাকরি ঢাকাবাসী এটা মনে নিবে। আপনাদের বিদ্যুতের সরবরাহে কোনো ঘাটতি হবে না। ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে সময়ে সময়ে বিদ্যুতের মূল বৃদ্ধ করা হয়েছে, বিএনপি সরকারের আমলে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হয়েছে। দিনের পর দিন, ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুতহীন অন্ধকারে আপনারা থেকেছেন। পানি থাকে নি মানুষকে নিদারুণ কষ্ট করতে হয়েছে। আমাদের আমলে যে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে তা সাময়িক, এটা মেনে নিবেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আমাদের আহ্বান।’
দিল্লির বিষয়টি উল্লেখ করে সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের দিল্লি শহরে একটা অভ্যন্তরীণ সংকট চলছে। একথা সত পাশের ঘরে আগুন লাগলে সেই আগুনের আচ প্রতিবেশীর ঘরেও আসে। ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। ভারতের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক। আমরা ভারত সরকারকে বলবো বজকে দিল্লিতে যে সংকট চলছে, রক্তপাত আর না বাড়িয়ে, তাদের নিজেদের সমস্যা নিজেরা দ্রুত মিটিয়ে নিবেন। এটাই আমরা বলতে পারি। কিন্তু এজন্য ৭১ সালে রক্তের অক্ষরে রচিত বন্ধু বিসর্জন দিতে পারি না। বাংলাদেশ মুজিববর্ষের উৎসবে না রাখলে এটা হবে অকৃতজ্ঞতা। দুঃস সময়ের বন্ধুদের বাদ দিয়ে আমরা মুজিববর্ষ পালন করতে পারি না।’
সভাপতিত্ব করেন শহীদ সেলিম -দেলোয়ার স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ড. আব্দুল ওয়াদুদ আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য মঞ্চের সভাপতি রুহুল আমিন মজুমদার, অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদীসহ অনেক।