নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭: ভূমি দুর্নীতিবাজ ও দালালদের রুখতে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে মন্তব্য করে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা ভূমি সেবার ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি। সরকার ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন নিশ্চিত করতে ভূমি ডিজিটাইলাজেশনসহ নানা পদক্ষেপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। চলমান ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশন পদ্ধতি সামগ্রিক ভূমি সংস্কারের ক্ষেত্রে বড় ধরণের পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
আজ রোববার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ও এটিএন বাংলার যৌথ আয়োজনে রাজধানীর এফডিসিতে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্টে ‘ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনায় সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ভূমি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের মামলা-মোকদ্দমার ৮৫ ভাগই ভূমি সংক্রান্ত। আগে ভূমি মন্ত্রণালয়কে ড্যাম্পিং মন্ত্রণালয় বলা হতো। কিন্তু বর্তমানে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে এই মন্ত্রণালয় জনগণের দৌরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের জন্যেই ভূমি ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া চলছে। টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আন্তমন্ত্রণালয় যেসব জটিলতা রয়েছে সেগুলোও মেটানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শক্তিশালী নিজস্ব জনবল তৈরিতেও ভূমি মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ভূমি জরিপ থেকে শুরু করে ভূমি রেজিস্ট্রেশন, নামজারি, খাজনা, জলাশয়, শত্রুসম্পত্তি, ওয়াকফ সম্পত্তি, দেবোত্তর সম্পত্তি ও খাসজমি নিরূপণের ক্ষেত্রে আইন, ভূমি, বন, পানিসম্পদ এক এক মন্ত্রণালয় এক এক ধরনের ভূমি ব্যবস্থাপনার কর্তৃত্ব রাখে। ফলে ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এক ধরনের বড় বাধা দৃশ্যমান। ভূমি ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত মাঠ পর্যায়ের যারা কর্মরত রয়েছেন তাদেরকে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ ছাড়া টেকসই ভূমিব্যবস্থাপনার কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
প্রতিযোগিতায় প্রাইম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।