ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) ,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৮: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ছেলেকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে স্থানীয়রা ঘাতক ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করে।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পাটওয়ারী বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে।
আটক মিলন (৩০)ওই গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে। নিহত ফিরোজা বেগম (৬০) একই গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর স্ত্রী।
রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম জানান, নিহত ফিরোজা বেগম তার দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলেকে নিয়ে পৃথক বাড়িতে থাকতেন। মিলন জন্মের পর থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। ছোট ছেলে আলমগীর হোসেন বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুকী জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ঘাতক মিলন তার মাকে দুই-একদিন আগে কুপিয়ে হত্যা করে ঘরেই ফেলে রেখেছে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মিলন বাড়ির অদূরে একটি চায়ের দোকানে সিগারেট কিনতে এলে স্থানীয় লোকজন তার গায়ে রক্ত দেখে সন্দেহ করে। পরে কয়েকজন ব্যক্তি তার বাড়ি গিয়ে বৃদ্ধা মায়েরক্ষতবিক্ষত লাশ ঘরের চৌকির ওপর পড়ে থাকতে দেখে। এছাড়া তার মায়ের হাতের একটি কবজি ভাতের পাতিলে পানিতে ভেজানো দেখতে পায়।
স্থানীয় ইব্রাহিম নামের একজন জানায়, মিলনের মানসিক সমস্যা থাকতে পারে। সে কিছুদিন ভালো থাকে আবার কিছুদিন অন্যরকম আচরণ করে। কয়েক বছর আগে তার মাকে আরও একবার গল কেটে হত্যচেষ্টার অভিযোগে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে সে ৬ মাস জেলে থাকার পর বেরিয়ে আসে।
ফরিদগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব কুমার দাশ জানান, মাকে হত্যার সন্দেহে ছেলে মিলনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।