নিজস্ব প্রতিবিদেক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,সোমবার ০৯ এপ্রিল ২০১৮: নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে দেয়ালের পিলারে সাথে বিবস্র করে গলায় ওড়না ঝুলিয়ে রাখা রাজীয়া (৪৮) কে গভীর রাতে একাধিকবার ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে। এঘটনার হত্যা কান্ডের ২০ দিন পর আব্দুস সালাম নামে রাজীয়ার এক সহকর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলে গতকাল সোমবার (৯ এপ্রিল) বিকালে মাধবদী থানা পুলিশ জানান ।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, পুলিশের তদন্তের সুরতহাল রিপোর্ট আর সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির ফোন রেকর্ড যাচাইয়ের এক পর্যায়ে খুনিকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়। রাজিয়ার বাড়ি দিনাজপুরের বিরগঞ্জ এলাকায় এবং সালামের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়াতে। তারা দুজনই মাধবদীর রেল লাইন সংলগ্ন আলাদা বাড়িতে ভাড়া থাকত। গত ২০ মার্চ মাধবদীর পুরাতন রেল লাইনের পাশের একটি নির্মানাধীন দেয়ালের পিলারে এক নারীর বিবস্র ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খরব দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ সুরতহাল দেখে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী জেলা মর্গে প্রেরন করা হয়।
আসামীর বরাদ দিয়ে পুলিশ জানান, রাজিয়া ও সালাম একই সাথে মাটি কাটার কাজ করত। দীর্ঘ দিনের কাজের সুবাধে তাদের মধ্যে গভীর সখ্যতার জন্ম নেয়। তাছাড়া সালাম রাজীয়াকে নানী বলে ডাকত। ঘটনার দিন সালাম রাজীয়াকে ফোন করে এবং তার ভাড়া বাড়িতে কয়েকবার ধর্ষন করে তারই গায়ের কাপড় দিয়ে গলা চেপে হত্যা করে। নিজেকে নির্দোষ প্রমানে সালাম রাজীয়ার লাশ টেনে নিয়ে যায় একটি নতুন দেয়ালে মোড়ানো পরিত্যাক্ত মাঠে। পরে তার গলায় কাপড় পেচিয়ে ফাসি নাটক সাজানো হয়।
মাধবদী থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা)ওসি ইলিয়াস বলেন, আসামী খুবই চালাক। তাকে প্রথমে আনা হয়েছিল ওই মহিলার সাথে কারো কোন পূর্ব শত্রুতা আছে কিনা তা যাচায়ের জন্য। কিন্তু সে মোটেও বিচলিত না হয়ে হাসিমুখে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ফোন কল রেকর্সের মাধ্যমে আমরা তার কাছ থেকে খুনের প্রকৃত ঘটনা ও প্রকৃত খুনিকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হই।