নিজস্ব প্রতিবেদক: শিল্পাঞ্চল মাধবদীর কৃতি সন্তান সিংহ পুরুষ আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শওকত আলী’র বড় মেয়ে শাহানাজ প্রধানের ফেসবুক আইডি থেকে নেয়া বাংলাদেশ তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শওকত আলী’র অজানা কিছু কথা অব্যক্ত কাহিনী যা না বললেই নয়। এখানে শাহনাজ প্রধান যা বললেন তা হলো,
** বাংলাদেশ তাঁতী লীগের সভাপতির অব্যক্ত কাহিনী, শাহনাজ প্রধানের কলমে –
কিছু দিন আগে “তাঁতী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর” নামক ফেইজবুক আইডিতে বাংলাদেশ তাঁতীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সভাপতি জনাব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শওকত আলী সাহেবকে নিয়ে একটি পোস্ট করেন, ঘটনা চক্রে আমি সেই পোস্টে একটি কমেন্ট করি, যা দেশ ব্যাপী প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করেছে! একটি কমেন্ট এত জনপ্রিয় হতে পারে যা ভেবে আমি অবাক হয়েছি! তখন অনেকেই আমাকে অনুরোধ করেছেন জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেব সম্পর্কে বিস্তারিত লিখার জন্য, যারা উনাকে চিনেন, জানেন তাঁরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, আমি তাদের প্রিয় নেতার অনেক কিছু লিখিনি বলে।
আর যারা উনার সম্পর্কে জানেন না তাঁরা জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেব সম্পর্কে আরো জানতে চায়, আমি কথাও দিয়েছিলাম বিস্তারিত লিখব, ঠিক তখন থেকেই হৃদয়ের তাগিদ অনুভব করেছি জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেব সম্পর্কে আরো একটু বিস্তারিত আপনাদেরকে জানানোর জন্য, এই মর্মে একটু সাংবাদিক সাংবাদিক ভাব নিয়ে জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেবকে প্রশ্ন করলাম জানতে চাইলাম, আচ্ছা আপনি ১৯৮৮ সালে আলগী গদাইচর রোডের খালের উপর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্রীজ তৈরী করেছিলেন, সেখানে সরকারী ফান্ড বা আপনার ফান্ড বা অন্য কারো ফান্ডের বিষয়ে দয়াকরে একটু শুনতে ইচ্ছে করছে! আমি জানি এর কাহিনী, তবু প্রশ্ন করলাম বিষয়টি পরিষ্কার হতে। তখন আমায় খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে উনি বললেন, ”সরকারী ফান্ড ছিল না, মানুষের যাতায়াতের কষ্ট দেখে আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে ব্রীজটি করতে চাইলে ঐ সময়ে আমার খুব কাছের বন্ধু নারায়ণগঞ্জের এমদাদ ভাই ব্রীজের ফান্ডটি দেন”।
তখন আমি মনটা খুব খারাপ করে প্রশ্ন করলাম, আপনি কি ১ লাখ টাকাও দেননি? উনি বলল, না দেইনি, তবে এমদাদ ভাই না দিলেতো অন্য কারো থেকে কিছু ফান্ড নিয়ে এবং নিজে ফান্ড দিয়ে হলেও ব্রীজ করতাম! তখন মনটা খারাপ করে বললাম, ধাৎ আমার ভাল লাগছে না, আপনার ফান্ড থাকলেতো বলতে পারতাম যে, আমার আব্বা ও টাকা দিছে! আব্বা বলে, তোর আব্বাইতো এটার উদ্যোগ নিল, টাকাতো দরকার লাগলে দিতামই,তোকে খুশী করার জন্য মিথ্যা করে বলতে পারব না যে এখানে আমার টাকা ও ছিল! উনি মাত্র ৩২/৩৩ বছর বয়সে নরসিংদী জেলার মুকুট মাধবদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবং পর পর টানা তিন বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বাবুর হাট হল বাংলাদেশের ১ নং বিখ্যাত কাপড়ের হাট। মাধবদী এবং শেখেরচর মিলেই বাবুর হাট তৈরী হয়। মাধবদীকে প্রাশ্চ্যের ম্যানচেষ্টা বলা হয়। উনি কখন কোন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তা নিম্নে সংক্ষিপ্ত ভাবে দেওয়া হল।
স্থানীয় সরকার পদে: জনাব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শওকত আলী সাহেবের হাত ধরেই মাধবদী পৌরসভা হয় এবং নব গঠিত পৌরসভার উনিই প্রশাসক নিযুক্ত হন, উনাকে বলা হয় মাধবদীর পৌর পিতা। তিনি তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং পৌর প্রশাসক হন অর্থাৎ মাধবদীর ক্ষমতার টানা ৪ টার্ম থাকেন! জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেব নরসিংদী জেলার ৭০টি ইউনিয়নের সকল চেয়ারম্যানের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন, অর্থাৎ উনি নরসিংদী জেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
চেয়ারম্যান: বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় শিল্প সমিতি লিমিটেড ১৯৯০ সাল হইতে ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
চেয়ারম্যান: নরসিংদী ইউ,সি,সি,এ লিমিটেড (বি,আর,ডি,বি) ১৯৮৬ সাল হতে ৩ বৎসরের জন্য নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
জাতীয় নেতৃত্বে: সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল উনি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এর স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ তাঁতীলীগের সম্মানিত সভাপতি ছিলেন। উনার কমিটি ভেঙ্গে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ তাঁতীলীগকে সহযোগী সংগঠন করে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। আর তখন জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেব হন বাংলাদেশ তাঁতীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ১ নং সম্মানিত সদস্য। দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর পর সম্মেলনের মাধ্যমে দেশরত্ন, বিশ্বনেতা যিনি বিশ্বের সৎ নেতাদের মধ্যে ৩য় স্থান লাভ করেন, মাদার অব হিউম্যানিটি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনাব ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী সাহেবকে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত করেন। মানে দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাবেক সভাপতিকেই পুনরায় সভাপতির দায়িত্বে নিয়োজিত করেন। অর্থাৎ উনার পর দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অন্য কাউকেই আর সভাপতি করেননি, করেছেন আহ্বায়ক, আহ্বায়ক কমিটির পর বিশ্বনেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেবকেই পুনরায় সভাপতি বানিয়ে সম্মানিত করেন। ২০০২ এবং ২০০৩ সালের শুরুর দিকে তো তাঁতীলীগ সহযোগী সংগঠন ছিল না, কিন্তু জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেব তখন তাঁতীলীগকে সংগঠিত করতে নিজের পকেটের টাকা দুহাতে উড়িয়েছেন!
সদস্য ঃ বাংলাদেশ কৃষকলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যে ছিলেন।
তিনি ১৯৯০ সালেও বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সারা দেশ ব্যাপী কাজ করেন।
রাজনৈতিক দায়িত্ব:
সহ সভাপতি: নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগ ১৮/১২/২০০৩ ইং সাল হইতে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
সাবেক সহ-সভাপতি: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, নরসিংদী সদর উপজেলা।
১৯৯৩ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তিনি ছাত্র রাজনীতি করে এসেছেন।
উনার রাজনৈতিক গুরুর নাম: বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর নরসিংদী সদর আসনের প্রয়াত এমপি জনাব আলহাজ্ব মোঃমোসলেহ উদ্দীন ভূঁইয়া।
উনার গুরু সম্পর্কে তিনি যা বলেন, প্রয়াত এমপি জনাব আলহাজ্ব মোঃ মোসলেহ উদ্দীন ভূঁইয়া ভাই একজন কর্মী বান্ধব নেতা ছিলেন, সকল সময় কর্মীদের খবর রাখতেন, এবং খুবই সৎ মানুষ ছিলেন। তিন আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন।
সামাজিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন:
প্রেসিডেন্ট: মানবাধীকার কাউন্সিল, নরসিংদী জেলা।
সভাপতি: মাধবদী জামেয়া-ই-এমদাদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, মাধবদী, নরসিংদী।
প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উপদেষ্টা: মাধবদী প্রেস ক্লাব, মাধবদী, নরসিংদী।
প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উপদেষ্টাঃ মাধবদী রিপোর্টার্স ক্লাব, মাধবদী, নরসিংদী।
দাতা সদস্য: মাধবদী মহাবিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ।
আজীবন সদস্য: বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি।
এছাড়া অতীতে আরো অনেক অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ব্যবসায়ী সংগঠনের দায়িত্ব পালন:
প্রেসিডেন্ট: মাধবদী ইয়ার্ণ মার্চেন্ট এসোসিয়েশন, মাধবদী, নরসিংদী।
এবং মাধবদীর মার্চেন্ট এসোসিয়েশনে টানা ৩৩ বছর নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে ব্যবসায়ীদের সেবা করে গেছেন। এবার মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের নির্বাচনে তিনি নির্বাচন করেননি, করেছেন আমার এক মাত্র ভাই জনাব আশরাফুল ইসলাম (বিপ্লব)। তিনিও সম্মান জনক পজিশনে পাশ করে মাধবদী মার্চেন্ট এসোশিয়েশনের ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা:
জনাব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শওকত আলী সাহেব ছিলেন একজন ট্রেনিং প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। তবে উনি এখনও আক্ষেপ করেন ঐ সময়ে ইন্ডিয়া গিয়ে ট্রেনিং নিতে পারেননি বলে। তিনি ট্রেনিং নিয়েছিলেন দেশেই। যুদ্ধের আগেই জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের বাবা অসুস্থ্য হয়ে মারা গিয়েছিলেন, ছাত্র হলেও উনি বড় সন্তান হওয়ার কারণে সংসারের ভার ছিল জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের উপরই, এতগুলি ছোট ছোট ভাই বোন সহ প্রায় ১০/১২ জন সদস্যের পরিবার, তারপরও তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের খরচের জন্য কয়েকটি গ্রুপের মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সমন্বয় করে মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার জনাব মোঃ মনির সাহেবের কাছে ছয় হাজার টাকা দিয়েছিলেন। জনাব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শওকত আলী সাহেব ১৯৬৯ সালের গণ আন্দোলনে সরাসরি অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৭০ এর জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের জয়ের জন্য অত্যন্ত জোড়ালো ভাবে কাজ করেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অত্যন্ত সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেন।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জামাত-বিএনপি জোট সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতা কর্মীদের সাথে নিজ এলাকায় এবং ঢাকার রাজপথে হরতাল, অবরোধ, মিছিল, মিটিং করে গেছেন।
আওয়ামীলীগের আন্দোলনে সংগ্রামে তিনি নিজে শুধু অগ্রণী ভূমিকাই পালন করেননি, কর্মীদের টাকা পয়সা সহ সকল ধরণের সহযোগীতা করে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সরকারী দলে এবং বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় যত সাংগঠনিক সফরে এসেছেন ইঞ্জিনিয়ার সাহেব সম্পূর্ণ নিজ খরচে তাদের আপ্যায়ন করে গেছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সকল সময় আসা যাওয়া ছিল আমাদের বাড়িতে আর সেটা আওয়ামীলীগ সরকারী দল এবং বিরোধী দলে থাকা অবস্থায়। কেন্দ্রীয় নেতারা কখনো যাত্রাপথে রেস্ট নিতেও আমাদের বাড়ি এসেছেন এবং জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেব অত্যন্ত ভালবাসায় তাদের আপ্যায়ণ করে গেছেন, অনেক কেন্দ্রীয় নেতারা একাধিক বারও এসেছেন। জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেব হলেন অত্যন্ত অতিথি পরায়ণ মানুষ। এই প্রসঙ্গে একটি ঘটনা আমার মনে পরছে, একবার আওয়ামীলীগের কিছু মহিলা নেত্রী রাতের বেলায় মাধবদীর অদূরে গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হন। তাদের দুর্ঘটনার খবর শুনে আব্বা যারপর নাই ঘাবড়ে যায়! এবং তাদের সম্মানের সাথে আমাদের বাড়ি আনতে লোক পাঠান। ঐ রাতে নেত্রীরা আমাদের বাড়িতেই ছিলেন। আমাদের বাড়িতে সকল সময়ই নাইট গার্ড থাকে,সেদিন ও ছিল,তারপর ও আব্বা তাদের নিরাপত্তা জোড়দার করতে তাদের জন্য এক্সট্রা গার্ড নিযুক্ত করেন। সেদিন যারা ছিলেন আমাদের বাড়িতে,তারা হলেন আওয়ামী মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সম্মানিত সভাপতি সাফিয়া খাতুন ম্যাডম,সম্মানিত এমপি ইন্দিরা ম্যাডম সহ আরো কয়েক জন। আওয়ামীলীগ সরকারী দলে এবং বিরোধী দলে থাকা অবস্হায় যে সব কেন্দ্রীয় নেতারা আমাদের বাড়ি এসেছেন তাদের কিছু ছবি এই লেখাটির সাথে পোস্ট করলাম।তবে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এই জন্য যে সকলের ছবি আমি কালেক্ট করতে পারনি।আর কিছু ছবি পুরনো হওয়ার কারণে ও পোস্ট করিনি।
আমার চোখে জনাব ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী সাহেবের প্রধান ভুল:
বিএনপির প্রয়াত এমপি জনাব সামসুদ্দীন আহমেদ এছহাক সাহেবের মৃত্যুর পর নরসিংদী সদর আসনটি শূণ্য হয়। তখন বিএনপি থেকে নরসিংদী সদর আসনে মনোনয়ন দেয় ডাকসুর সাবেক জি এস জনাব খায়রুল কবীর খোকন সাহেব কে, যিনি বর্তমানে বিএনপির জয়েন্ট সেক্রেটারী।
ঐ সময় জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেব স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হন। কিন্তু আওয়ামীলীগ বিএনপির অধীনে সকল প্রকার নির্বাচন বর্জন করেন। তাই আব্বা স্বতন্ত্র থেকেও প্রার্থী হউক তা আওয়ামীলীগ চায়নি, সেজন্য তৎকালীন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী জনাব আব্দুল জলিল সাহেব সহ প্রায় সকল কেন্দ্রীয় নেতারা এবং নরসিংদী জেলার রায়পুরার এমপি, আওয়ামীলীগের প্রেসেডিয়াম সদস্যে জনাব রাজ উদ্দীন রাজু সাহেব, জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেবকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে বলেন। অবশেষে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন তিনি প্রত্যাহার করে নেন। আমি মন থেকে চাইনি আব্বা প্রত্যাহার করুক সাথে এই এলাকার সাধারণ মানুষ ও চায়নি উনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করুক। কারণ এটাই ছিল সুযোগ এই এলাকার মানুষের আশা পুরণের। এই দক্ষিণাঞ্চল থেকে কখনো কেউ এমপি হননি! আমি ছোট থেকেই দেখেছি এই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ চায় আব্বা এমপি হউক। বৃদ্ধ মানুষদের বলতে শুনেছি, যদি মরার আগে শওকত আলীরে এমপির জন্য একটা ভোট দিয়ে মরতে পারতাম! কোতালী চরের বুরজু কাকা ছোট থেকে দেখেছি আব্বার খুব ভক্ত! আব্বার সাথে ছায়ার মতো লেগে থাকত। উনার ভাই মানে আব্বা এমপি হবে তাই প্রার্থী হওয়ার পেপার্স সাবমিটের দিন খুব খুশীতে উনি আব্বার সাথে গিয়েছিলেন।
যেদিন আব্বা প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলেন সেদিন উনার ওয়াইফকে খুবই মন খারাপ করে উনি বললেন, ভাই নাকি ইলেকশন করত না, ইলেকশনের কাগজ উডাইয়া লাইছে, ভাই নির্বাচন করলে হাসিনা আপায় রাগ করবো তাই ভাই বইয়া গেল! এরপর তেমন কোন কথাই নাকি আর বলেননি। সেদিনই উনি হার্ট এ্যাটাকে মারা গেলেন! আমি খুব কেঁদেছিলাম কারণ আমার কেন যেন মনে হয়েছিল আব্বাকে এমপি হিসাবে দেখতে পাবেন না এটা উনি মানতে পারেননি, তাই হয়ত হার্ট এ্যাটাক করেছেন, এ কথাটা লিখার সময় এখনও আমার চোখে পানি চলে আসছে। আসলে ঐ সময়ে উপ-নির্বাচন না করাটা আমার চোখে ভুল হলেও আব্বা মনে করেন তিনি সঠিক কাজ করেছেন কারণ তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবাধ্য হননি।
ছোট বেলা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিয়ন গুলোতে আমরা বেড়াতে গেল দেখেছি যে, আব্বার সন্তান হওয়ার কারণে আমাদের দেখতে শত শত লোকের ভীড় জমে যেত।এবং ইঞ্জিনিয়ার সাহেব সকল সময় নরসিংদী জেলায় জনপ্রিয় এবং স্বনামধন্য ব্যক্তি। এবং ছোট সময় থেকেই দেখেছি যে, উনি শুধু নরসিংদী জেলায় নয়, নরসিংদী জেলার আশেপাশের জেলাগুলোতেও খুব জনপ্রিয়।
ইঞ্জিনিয়ার সাহেব টানা চার বার এমপি প্রার্থীতার জন্য নমিনেশন চেয়েছেন, প্রতিবারই জনপ্রিয়তায় তিনিই ছিলেন শীর্ষে। লাস্ট চেয়েছিলেন ২০০৮ সালে। তখন দলীয় মনোনয়নে তৃণমূল পর্যায়ে ৫ জনের তালিকায় ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের নাম ২য় ছিল, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নমিনেশন চাননি। কেন চাননি প্রশ্ন করায় বললেন, কাউকে নাকি কথা দিয়েছেন উনি নমিনেশন চাইবেন না, তাই চাননি! আমি আবার একটু মন খারাপ করে বললাম, আপনার কি কথা রাখা শেষ হয়েছে? নাকি আজীবনের জন্য কথা দিছেন যে, আর নমিনেশন চাইবেন না? এটা বলাতে ধমক দিয়ে বললেন! এই মেয়ে ইলেকশন করা বড় নাকি দলের জন্য দেশের জন্য কাজ করাটা বড়? আমি বললাম, আমাদের হৃদয়ের চাওয়া হল আপনি নমিনেশন চান এবং এমপি ইলেকশন করেন, আর আপনি যদি আপনার সন্তানদের মনের ইচ্ছা ভাঙ্গেন তবে ভাঙ্গেন।
উনি বললেন, উনি দলের জন্য দেশের জন্য কাজ করতে চান, উনি নির্বাচন নিয়ে ভাবতে রাজী না, আরো বললেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপার ইচ্ছার বাহিরে আমার কোন ইচ্ছা নাই। নরসিংদী উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে নরসিংদী সদর আসন। দক্ষিণাঞ্চলে মানে জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের এলাকায়ই ভোট সবচেয়ে বেশী আর স্বাধীনতার পর থেকে এই দক্ষিণাঞ্চলের সব চেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিটি হলেন জনাব ইনঞ্জিনিয়ার মোঃ শওকত আলী সাহেব। এখানকার মানুষ ভালবেসে উনাকে সিংহ পুরুষ বলেন।
ইঞ্জিনিয়ার সাহেব বলতে গেলে বহু বছর ধরে এই দক্ষিণাঞ্চলের একক নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। জনাব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শওকত আলী উনার জীবনে কোন দিন এক টাকা ঘুষ ও খাননি, আর এ কথা উনি জনসভায় দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ করে বলেন। এমনকি উনি কারো জন্য কোন কাজ করে দেওয়ার পর ঐ লোক যদি খুশী হয়ে এক প্যাকেট মিষ্টিও আনেন তখন উনি অত্যন্ত রুড হয়ে যান। এতে করে দেখা যায় উনার উপকার পেয়েও লোকটি পরবর্তীতে উনার শত্রু হয়ে গেছে! আমরা আব্বাকে বলি যে, আপনাকে কেউ টাকা বা দামী জিনিস তো দিচ্ছে না, খুশী হয়ে কেউ মিষ্টি দিলেও এমন করতে হয়? আব্বার কথা হল! কাজ করার আগে বা পরে কেউ খাবার দিলে নিবে না, অন্য সময় ভালবেসে কেউ কিছু খাওয়ালে খাবে। তিনি অত্যন্ত ধর্মভীরু মানুষ, আল্লাহর রহমতে কখনো অন্যায়কে পশ্রয় দেননি এবং ছয় বার হজ্ব করেছেন, হজ্ব করার আরো ইচ্ছা নাকি আছে। তিনি সকল সময় মিডিয়া বিমুখ মানুষ।
সাংবাদিক ভাইরা ম্যাসেজে আমাকে বলেন, আপা আপনার বাবা আমাদের সাথে বসতে চান না! খালি বলেন, পরে পরে। আসলে এটা উনার আজীবনের অভ্যাস! আমি সেটা আগেও বলেছি যে, উনি কাজ করেন ঠিকই কিন্তু নামের পিছনে ছুটেন না। মাধবদীর ক্ষমতায় সবচেয়ে বেশী সময় তিনিই ছিলেন এবং এলাকার উন্নয়নের সিংহ ভাগই উনিই করে গেছেন। কিন্তু একটা রাস্তার নামও নিজের নামে করেননি। নিজ উদ্যোগে কত কত রাস্তা ঘাটের মেরামতের কাজ করেছেন, দুস্থ্য ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শওকত আলী ফাউন্ডেশন থেকে বিনা মূল্য বই, খাতা, কলম দিয়েছেন। কত কত স্কুলে মেধাবীদের জন্য বৃত্তি প্রদান করেছেন, এতিম খানায় এতিমদের খরচ দিয়ে যাচ্ছেন, এলাকার মাদকাসক্ত যুবকদের নিজ খরচে চিকিৎসা করিয়েছেন। মসজিদ, মাদ্রাসায় রেগুলার অনুদান দিয়েই গেছেন ও যাচ্ছেন। আমাদের গ্রামের ঈদগাহ্ ছোট হওয়ার কারণে ঈদের নামাজ পড়তে কতই না সমস্যা হত, এ সমস্যা লাঘবে জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেব ১৫ শতাংশ জায়গা দিয়েছেন, বলাবাহুল্য এই ঈদগাহ্টি মাধবদী পৌরসভার ব্যবসায়িক এলাকায় অবস্থিত।
মাধবদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রতিষ্ঠার ঘটনা ঃ
জনাব ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী সাহেবের নেতৃত্বেই মাধবদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটি প্রতিষ্ঠা হয়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশকে নতুন ভাবে গড়ার জন্য মাধবদীর দেশ প্রেমিক তরুণরা ও উদ্যোগী হন। সে লক্ষ্যে ইঞ্জিনিয়ার সাহেব মাধবদীতে প্রথম একটি সংগঠন করেন। সেটির নাম ছিল সেবা সংঘ, এবং এটি অল্প সময়ে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেবা সংঘের সভাপতি ছিলেন জনাব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শওকত আলী সাহেব। এই সেবা সংঘের উদ্যোগেই মাধবদীর প্রথম কলেজটি তৈরী হয়। হঠাৎ করেই জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেব কলেজের ব্যাপারে সেবা সংঘের তরুণদের সাথে আলোচনা করেই তখনকার এমপি জনাব আলহাজ্ব মোঃ মোসলহ উদ্দীন ভূঁইয়া সাহেবের সহযোগীতা কামনা করেন।
জনাব আলহাজ্ব মোঃ মোসলেহ উদ্দীন ভূঁইয়া সাহেব তাদের আশ্বস্ত করার পর জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেবেরা তরিঘড়ি করে কয়েকজন ছাত্র জোগাড় করে, একটি চেয়ার ও একটি টেবিল রেখে হঠাৎ করেই জনাব জয়নাল প্রিন্সিপাল স্যারকে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে চেয়ার টেবিলে বসিয়ে বলেন, আপনি হলেন আমাদের স্যার, আর এটা হল কলেজ! এভাবেই হয় কলেজটির প্রতিষ্ঠা। আর প্রয়াত এমপি জনাব আলহাজ্ব মোঃ মোসলেহ উদ্দীন ভূঁইয়া সাহেব হয়েছিলেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। কলেজটি প্রতিষ্ঠায় ঐ সময়ে আরো যে সব যুবকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তৈরী হয় তাদের মধ্যে সর্বাগ্রে যার নাম তিনি হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা,জনাব মোঃ সফিউদ্দীন (সাফি), তিনি মাধবদীর চেয়ারম্যান এবং মেয়রও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারপর বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃতঃ জনাব মোঃ আতাউল্লা (তিনি ও কয়েক বার মেম্বার হয়েছিলেন)।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃতঃ জনাব মোঃ মোসলেম উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ সিরাজ উদ্দীন (বাড়ি নওপাড়া), বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃতঃ মোঃ আবু সাঈদ মিয়া (চৌড়া বাড়ি), বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত জনাব আহমেদ(বাড়ি মনোহরপুর), বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃতঃ জনাব মোঃ মোখলেস উদ্দীন। সহযোগীতায় আরো আছেন, মৃতঃ জনাব আলহাজ্ব লোকমান হোসেন প্রধান সাহেব এবং জনাব আলহাজ্ব সফর আলাী ভূঁইয়া সাহেব। উনারা দু’জন বড় ভাই হিসেবে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন। পরবর্তীতে জনাব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শওকত আলী সাহেবের নেতৃত্বে মাধবদী কলেজটি ডিগ্রী কলেজে পরিণত হয়। আর এ বিষয়ে সব চেয়ে বেশী যিনি সহযোগীতা করেছেন তিনি হলেন তৎকালীন ডিসি জনাব রেজা ই রাব্বী সাহেব।
জনাব জয়নাল প্রিন্সিপাল স্যার কলেজটিকে ডিগ্রী কলেজ করতে সম্মতি দেননি, আর এ বিষয়টি মিমাংসা হয় ডিসি সাহেবের হস্তক্ষেপে। পরবর্তীতে মাধবদী কলেজ পাঠাগারটির নামকরণ করা হয়েছিল রেজা ই রাব্বী পাঠাগার নামে। এখন মাধবদী মহাবিদ্যালয় কলেজটি মাধবদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রুপান্তরিত হয়েছে এবং লেখা পড়ার মান আরো বেড়েছে। কলেজটির বর্তমান সভাপতি হলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জনাব নজরুল ইসলাম হিরু এমপি (বীর প্রতীক) সাহেব।
আমরা ৫ বোন ১ ভাই। ভাই বোন সকলেই ম্যারিড এবং আল্লাহর রহমতে সকলেরই সন্তান আছে।
মোঃ আশরাফুল ইসলাম বিপ্লব ঃ
ব্যবসায়ী এবং মাধবদী মার্চেন্ট এসোসিয়েশন এর ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক।
শাহনাজ প্রধান:
মাস্টার্স: রাজনীতি বিজ্ঞান (বাংলাদেশ),
মাস্টার্স: ম্যানেজমেন্ট (ইংল্যান্ড),
মার্কেটিং এ এম বি এ: (কার্ডিফ মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি,কার্ডিফ,ওয়েলস)।
সানজিদা ফেরদৌস শান্তু:
মাস্টার্স: (বাংলাদেশ),
এম বি এ: গ্রীনিউইচ ইউনিভার্সিটি (ইংল্যান্ড),
বৃটিশ সিটিজেন।
উম্মে সালমা মুঞ্জু:
গ্রেজুয়েশন: ব্যবসায় (বাংলাদেশ),
ব্যবসায় ডিপ্লোমা কোর্স (ইটালী),
তার আছে পুরা ইউরোপে গাড়ি চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স।
ইটালিয়ান সিটিজেন।
বর্তমানে বৃটিশ নাগরিক সুবিধায় যুক্তরাজ্য আছে। এবং বৃটিশ সিটিজেন হওয়ার পথে।
ফারজানা তাবাসসুম শাম্মী:
ডিগ্রী অধ্যয়নরত। (সে ও ইংল্যান্ডে থাকত,বর্তমানে দেশে)।
হাসিনা নওরিন আশা:
ডিগ্রী অধ্যয়নরত।
আমি লেখালেখি করি, তবে লেখালেখিতে খুবই অলস আমি, আমি খুব ভাল লেখক না হলেও যখন লিখতে বসি তখন শুধু লিখতেই থাকি, আমার ভাবতে হয় না। আমার প্রকাশিত বই এর নাম “হলুদ নদী গাঙ চিল” এবার একুশে বই মেলায় আমার নতুন বই ইনশাল্লাহ আসবে। জীবন বলতে আমি বুঝি পরের জন্য যা করা তা ই জীবন, এমনিতে যে সময়টা যায় তার নাম অকেজো জীবন। ব্যক্তিগত জীবনের ধারণা আমি বুঝি না।
আমি যুক্তরাজ্য ছিলাম, তিন বছর আগে দেশে এসেছি, যদি না আসতাম তবে এ বছর আমি বৃটিশ সিটিজেন হতাম। আপনারা জেনে অত্যন্ত খুশী হবেন যে, ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের বাবা হাজ্বী মোঃ আশ্রব আলী প্রধান ছিলেন একজন অবস্থা সম্পন্ন তাঁতী, সাথে ছিল ফসলী জমি এবং গ্রামের মোড়ল। ইঞ্জিনিয়ার সাহেব ছোট বেলায় পড়া ফাঁকি দিলে শাস্তি হিসেবে জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের বাবা জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেবকে তাঁতে বসাতেন। উনি তখন এতই ছোট হয়ে তাঁতে বসেছেন যে, তাঁত চালাতে উনি উপরে হাত দিয়ে নাগাল পেতেন না, তাই বসার জায়গায় বালিশ দিয়ে বসতেন, এবং তিনি একজন শ্রমিকের চেয়েও দক্ষতার সাথে তাঁত বুনতে পারতেন! মানে উনি হলেন তাঁতীর ঘরের তাঁতী! ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের ও কাপড়ের ইন্ডাস্ট্রিজ ছিল, এবং অলওয়েজ উনারা কাপড় ব্যবসার সাথে জড়িত। বংশ পরমপরায় উনাদের বংশ পদবী প্রধান, সাথে শেখ ও, যা কেউ লিখে না।
জনাব ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের পূর্ব পুরুষ শত শত বছর আগে ইসলাম ধর্ম প্রচার এর জন্য ইরাক থেকে এদেশে এসেছিলেন। ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের বাবার নাম হাজ্বী মোঃ আশ্রব আলী প্রধান,উনার দাদার মোঃ ছাহাদ আলী প্রধান, উনার বড় বাবার নাম শেখ ধঞ্জি প্রধান (গ্রাম পঞ্চায়েতের বিচারক ছিলেন), শেখ ধঞ্জি প্রধানের বাবার নাম শেখ স্যারে মামুন, শেখ স্যারে মামুনের বাবার নাম সম্ভবত (শেখ স্যারে মাসুদ,এই নামটির ব্যাপারে আমি পুরা সিওর না)। উনারা সাত পুরুষ ধরে বংশ মোড়ল। উনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ৫ম স্ট্যান্ড করেছেন। অল্প সময়ের জন্য সরকারী চাকরীও করেছেন, ঘুষ এর অফার আসে বলে চাকরী ছেড়ে দিয়েছিলেন,উনার জীবনে কোন দিন ইনশাল্লাহ্ একটাকাও ঘুষ খাননি, উনি সেটা জনসভায় দাঁড়িয়ে অলওয়েজ বলেন এবং চ্যালেঞ্জ করেন। উনার হাতেই মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রথম গেইটটি তৈরী করা হয়েছে।
এত কথা এজন্য বললাম যে, উনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে বাংলাদেশ তাঁতীলীগের সভাপতি হননি, চেয়ারম্যান পদটি হল উনার খুব কম বয়সের একটা পদ! বাংলাদেশ তাঁতী লীগের সভাপতিই পুনরায় বাংলাদেশ তাঁতীলীগের সভাপতি হয়েছেন। ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের দানের হাত অতুলনীয় যা সকলে জানেন,নিজে কষ্ট করে হলেও মানুষকে দেন। কোন অসহায় মানুষ এলে যদি বলা হয় আব্বা বাড়ি নেই,তবে আমরা শেষ!আব্বা বলেন, এই অসহায় মানুষ আব্বার মেহমান। আমার জানা মতে আব্বা প্রায় ৬০ টি পরিবার দেখা শোনা করছেন রেগুলার। পকেটে টাকা থাকা অবস্থায় কাউকে মাফ করেন কথাটা উনি কখনো বলেননি। আব্বা কখনোই বিলাসী জীবন যাপন করেননি, যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই করেন।