1. azadkalam884@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  2. bartamankantho@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  3. cmisagor@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  4. khandakarshahin@gmail.com : Khandaker Shahin : Khandaker Shahin
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:২৯ অপরাহ্ন
১১ বছরে বর্তমানকণ্ঠ-
১১ বছর পদার্পণ উপলক্ষে বর্তমানকণ্ঠ পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা....

‘রাজনীতির বল বিএনপির কোটে’

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

চট্টগ্রাম,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮: রাজনীতির বল এখন বিএনপির কোটে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করার মধ্যদিয়ে সরকার তাদের ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ফেলেছে। এখন রাজনীতির বল বিএনপি নেতাকর্মীদের কোটে। তারা যেভাবে খেলবে সরকারকে সেভাবেই খেলতে হবে।’

শুক্রবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সংগঠনের আহবায়ক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ সমাবেশ হয়।

আমীর খসরু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে পথে হাটছে সেটা একদলীয় পথ, স্বৈরতন্ত্রের পথ, ফ্যাসিস্টের পথ, নিপীড়ন নির্যাতনের পথ। তারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস অথবা অন্য শক্তির উপর নির্ভর। বিএনপি জনগণের উপর নির্ভর। বিএনপি চলছে গণতন্ত্রের পথে।’

তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম জিয়ার মুক্তি আসবে আইনের শাসনের মাধ্যমে, বাক স্বাধীনতার মাধ্যমে। দেশনেত্রী যে পথ দেখিয়েছেন সেটি শান্তির পথ।’

খসরু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেয়ার পর অনেক সাংবাদিক আমার কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চান। আমি তাদের বলি, আমি কি প্রতিক্রিয়া দেব? কারণ উনি তো কোনও বক্তব্য রাখেন না, উনি শুধু গালাগালি করেন, তাই তার কোনও প্রতিক্রিয়া নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন মানে এ নয় যে, হাত পা গুটিয়ে বসে থাকা। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীরা এখন গ্রেফতারের ভয় করে না। মনে রাখবেন বেগম খালেদা জিয়া জেলের ভিতরে অনেক বেশী শক্তিশালী। আওয়ামী লীগ আছে মহাবিপদে। তারা নেত্রীকে জেলের ভিতর রাখলেও বিপদ, বাহিরে রাখলেও বিপদ। কারণ আওয়ামী লীগ শেষ কার্ড খেলে ফেলেছে, তাদের কাছে আর কিছুই নেই। যা আছে দেশের মানুষের কাছে, বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে। দেশের মানুষ গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করেছে, অতিশ্রীঘ্রই সে গন্তব্যে পৌঁছবে।’

সভায় সভাপতির বক্তব্যে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি, শিক্ষানীতি দুটোই ধ্বংস হয়ে গেছে। ফার্মার্স ব্যাংকের মালিক মহিউদ্দিন খান আলমগীর ব্যাংক লুটপাট করে শেষ করেছে। দুদকের মামলায় সে দÐপ্রাপ্ত আসামি। তারপরও সে এমপি রয়ে গেছেন, মন্ত্রীও হয়েছেন। এ হচ্ছে বাংলাদেশের আইনের স্বাধীনতা। জনগণের টাকা লুট করার অধিকার তাদেরকে কে দিয়েছে। বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক থেকে টাকা লুটপাট হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকার কোন খোঁজ নেই। শেয়ার বাজার থেকে টাকা লুটপাট করেছে দরবেশ এবং তার সহযোগীরা। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আওয়ামী লীগের নেতারা বাড়ি করেছেন।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ড.জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমি খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই না, আমি চাই উনি আইনের মাধ্যমে মুক্তি পাক, কারো দয়ায় নয়। বিচারপতিদের বিবেক থাকলে তাঁকে মুক্তি দিবেন। এ মামলা যে হাস্যকর, সেটি হাসিনাও জানেন। আসলে মামলাটি হয়েছে ভারতের প্রেসক্রিপসনে।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের এখন দুটো দায়িত্ব। খালেদার মুক্তি আর সুশাসন ফিরিয়ে আনা। আওয়ামী লীগ ভারতের দয়া চাচ্ছে, ভারত সব সময় কম দিয়ে বেশী জিনিস নিয়ে যায়। আমাদের দেশে গণতন্ত্রের বড় বাধা ভারত।’ ডা. জাফরুল্লাহ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যকে উদ্ভট আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘তিনি আগেই বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার ব্যাপারে কিভাবে বক্তব্য রাখলেন।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার বক্তব্য নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিচ্ছেন। ম্যাডাম এতিমের কোনও টাকা আত্মসাৎ করেনি। ১/১১’র সময় শেখ হাসিনার নামে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের টাকা নিয়ে একটি মামলা হয়েছে। আর তখন মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার নামে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের একটি মামলা করা হয়। পরবর্তীতে কোনও প্রমাণ না পাওয়ায় বেগম জিয়ার মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট দেয়া হয় আর শেখ হাসিনার মামলাটির চার্জশীট দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়ার মামলার ফাইনাল রিপোর্টটি আদালতে না পাঠিয়ে তাদের অনুগত ডবল প্রমোশনধারী একজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। পরে এটির চার্জশীট দেয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘আদালত নাকি স্বাধীন? কোনও প্রাইভেট ট্রাস্টির বিরুদ্ধে মামলা চলতে পারে না বলে যুক্তি দেখিয়ে শেখ হাসিনাকে অব্যাহতি দেয়া হয় আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়া হয়।’

পেশাজীবী নেতা ডা. খুরশিদ জামিলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন ড্যাবের সভাপতি ও পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব ডা. এ. জেড. এম জাহিদ হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ড্যাব কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, এ্যাব সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ড্যাব নেতা ডা. ফাওয়াজ হোসেন শুভ, ইঞ্জিনিয়ার এসোসিয়েশনের মহাসচিব হাসান জাফরী তুহিন, এম.বি.এ এসোসিয়েশনের মহাসচিব শাকিল ওয়াহিদ, কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য এড. কবীর চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর নসরুল কদির, চট্টগ্রাম জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এড. দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এড. জহিরুল আলম, এ্যাব চট্টগ্রাম সভাপতি কাজী সুফিয়ান, শিক্ষক নেতা মাহমুদুর রহমান সাকাসহ পেশাজীবী নেতারা।




এই পাতার আরো খবর

















Bartaman Kantho © All rights reserved 2020 | Developed By

Privacy Policy

Theme Customized BY WooHostBD