নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,সোমবার,০৮ জানুয়ারী, ২০১৮: বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের দলনেতা নির্বাচনে শুরু হতে যাচ্ছে ‘স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন-২০১৮। চতুর্থ বারের মতো এ নির্বাচন আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সকালে ভোট গ্রহণ ও বিকেলে বিজয়ী প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা বিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের (৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ নির্বাচন হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায় শিক্ষার্থীদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ এবং ফাজিল-কামিল মাদরাসা) এ নির্বাচনের আওতায় থাকবে না। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও দাখিল মাদরাসায় গত তিন বছর ধরে স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালেও দেশের সব মাধ্যমিক ও দাখিল মাদরাসায় স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন অয়োজনের জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও মাদরাসা সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচনের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে ব্যানবেইসের পরিচালককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুসারে শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে আট সদস্যের স্টুডেন্টস কেবিনেট। তাদের মধ্যে থেকেই গঠন করা হবে মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী। ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো ছাত্রছাত্রী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে। একজন ভোটার সর্বোচ্চ আটটি ভোট দেবে। তারমধ্যে প্রতি শ্রেণিতে একটি করে এবং যেকোনো তিন শ্রেণিতে সর্বোচ্চ দুটি করে ভোট দিতে পারবে।
প্রতি শ্রেণি থেকে একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। পাঁচ শ্রেণিতে পাঁচজন নির্বাচনের পর তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত তিনজন নির্বাচিত হবে। বিজয়ীরা প্রতিষ্ঠান পরিবেশ সংরক্ষণ (বিদ্যালয়, আঙিনা ও টয়লেট পরিষ্কার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পুস্তক ও শিখন সামগ্রী, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহপাঠ কার্যক্রম, পানিসম্পদ, বৃক্ষরোপণ ও বাগান তৈরি ইত্যাদি দিবস ও অনুষ্ঠান উদযাপন, অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন এবং আইসিটি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ) এই আটটি প্রধান দায়িত্ব আটজন প্রতিনিধি পালন করবে। নির্বাচনী প্রচারের জন্য কোনো ধরনের ছাপানো পোস্টার, ফেস্টুন, লিফলেট ব্যবহার ও দেয়াল লিখন করা যাবে না। তবে শিক্ষার্থীদের হাতে লেখা পোস্টার, ফেস্টুন, লিফলেট ব্যবহার করা যাবে। প্রতিষ্ঠানের সীমানা বা চত্বরের বাইরে প্রচার করা যাবে না।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়েই তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সহকারী শিক্ষকরা দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অষ্টম নবম শ্রেণির একজন করে দুজন শিক্ষার্থীকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মনোনীত করবেন। নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রয়োজনে একজন সহকারী শিক্ষককে সমন্বয়কারী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট কক্ষ স্থাপন করে গোপনীয়তার সঙ্গে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। স্টুডেন্টস কেবিনেটের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রথম সভায় একজন প্রধান প্রতিনিধি মনোনীত করবে। একই সঙ্গে প্রত্যেকের দায়িত্ব বণ্টন এবং সারা বছরের কর্মপরিকল্পনা করবে। পাশাপাশি প্রতিটি শ্রেণি থেকে দুজন করে সহযোগী সদস্য মনোনীত করতে হবে, যারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সহায়তা করবে, তাদের ভোটাধিকার থাকবে না।