ভারত ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৭ : : ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির দিওয়ার্কা এলাকার স্থানীয় একটি স্কুলে চার বছরের এক শিশুর বিরুদ্ধে তার সহপাঠীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছে পুলিশ। তবে এ ধরনের শিশুর বিরুদ্ধে কিভাবে অভিযোগ গঠন করা যায় সে বিষয়ে দেশটির আইন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় শীর্ষস্থানীয় টিভিচ্যানেল এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে মেয়েটির বাবা-মা বলছে, গত শুক্রবার স্কুল থেকে ফেরার পর শিশুটি তার গোপন স্থানে ব্যথা অনুভব করে। পুলিশ বলছে, পরে শিশুটি তার বাবা-মাকে স্কুলে তার সহপাঠীর কাছে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে বলে জানায়।
মেয়ে শিশুটি বলছে, শ্রেণিকক্ষে এক সহপাঠী তাকে নগ্ন করার পর একটি ধারালো পেন্সিল ও আঙুল ব্যবহার করে নিপীড়ন চালায়। ওই সময় শ্রেণিকক্ষে কেউ না থাকায় ছেলেটি তাকে আঘাত করতে থাকে।
এ ঘটনার পর কোনো ধরনের সহায়তা না করায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ কর্তৃপক্ষের প্রতি অবহেলার অভিযোগ তুলেছে মেয়েটির পরিবার। তাদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ছেলের পরিচয়ও গোপন করেছে।
চিকিৎসকের কাছ থেকে যৌন নির্যাতনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই ওই মেয়ের পরিবার পুলিশের শরণাপন্ন হয়। পুলিশ এ ঘটনায় মামলা নিলেও বেশ সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছে।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিল্লি পুলিশের প্রধান মুখপাত্র দিপেন্দ্র পাঠক বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী সাত বছরের নিচের শিশুরা বিচারের ক্ষেত্রে আইনি সুরক্ষা পায়। আমরা এসব বিধি-বিধান পরীক্ষা করে দেখছি। স্পর্শকাতর এ বিষয়টিকে সংবেদনশীলতার দিক থেকে বিবেচনা করেই সামলানোর চেষ্টা করছেন।