নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭: নারী-পুরুষের মধ্যকার বিয়ে ও তালাক বা বিচ্ছেদ নিয়ে বিবেচনাপ্রসূত চুক্তিনামা শুধু আধুনিক সময়েই নয়, কিছুটা তারতম্য থাকলেও তা ছিল প্রায় চার হাজার বছর আগেও।
সম্প্রতি তুরস্ক থেকে চার হাজার বছরের পুরনো একটি কাবিননামা (বিয়ের চুক্তিপত্র) উদ্ধার করা হয়েছে। তুরস্কের হারান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিকরা এটি উদ্ধার করেছেন।
এটাতে বিয়ে বিচ্ছেদের বিষয়ে সুস্পষ্ট শর্তের উল্লেখ রয়েছে। পিণ্ডাকৃতির একটি মাটির খণ্ডে শর্তগুলো খোদাই করে লেখা রয়েছে। কাবিননামাটি আসিরীয় যুগের বলে প্রমাণ রয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে। আসিরীয়রা মাটির পাত্রে খোদাই করে লেখার কৌশল উদ্ভাবন করেছিল এবং তাদের বর্ণমালা ছিল।
পিটিআই জানায়, মাটির পিণ্ডটি পাওয়া যায় বর্তমান তুরস্কের কালতেপে-কানেশ থেকে। এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং জাতিসংঘের ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য।
তুরস্কের হারান বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ষিত এই মাটির পিণ্ড ও সংশ্লিষ্ট আরও কিছু জিনিসপত্র নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ শেষে গবেষকরা জানান, আসিরীয় যুগের এই কাবিননামাই প্রাচীনতম কাবিননামা।
এই কাবিননামায় লাকিপাম নামে পুরুষ ও হাতালা নামে নারীর মধ্যে বিয়ের শর্তগুলো বলা হয়েছে। একটি শর্ত এমন, হাতালা যদি সন্তান জন্মদানে অক্ষম হন, তবে তার স্বামীর জন্য একজন কৃতদাসী এনে দেবেন তিনি।
এই কাবিননামার বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে গাইনকোলজিক্যাল এনডোক্রাইনলজি জার্নালে। এতে গবেষকরা দাবি করেন, প্রজনন অক্ষমতার সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এর একটি হচ্ছে সারোগেসি বা গর্ভ ভাড়া। চার হাজার বছর আগে আসিরীয় যুগের মাটির পিণ্ডে লেখা কাবিননামাতেও বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে।