নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,শনিবার,২৫ নভেম্বর ২০১৭: ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। সেই ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত হয়েছে। আর সেই স্বীকৃতি উদযাপনে সারাদেশে আনন্দ শোভাযাত্রা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ:
রাজশাহী
সকাল ১০টায় নগরীর আলুপট্টি মোড় থেকে জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফের নেতৃত্বে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে সাহেববাজার হয়ে রাজশাহী কলেজ মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এরপর আলুপট্টি মোড় থেকে একের পর এক শোভাযাত্রা গিয়ে মিলিত হয় কলেজ মাঠে। জেলা সদরের প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে এসব শোভাযাত্রা বের করা হয়।
পরে বেলা ১১টায় রাজশাহী কলেজ মাঠে সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
শোভাযাত্রায় অংশ নেয়ায় সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান।
এ সময় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আমিনুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মাহাবুবর রহমান, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সমাজসেবী শাহীন আক্তার রেণী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মর্জিনা পারভিন, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা শহরেও স্থানীয় সাংসদের নেতৃত্বে ও প্রশাসনের উদ্যোগে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় আনন্দ শোভাযাত্রাটি বেগমান হয়। এতে সাধারণ মানুষসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা অংশ নেন।
নীলফামারী
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের বড়মাঠ থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। পরে শহর প্রদক্ষিণ শেষে আবার বড় মাঠে ফিরে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মুজিবুর রহমান সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শোভাযাত্রার সমাপ্তি ঘটে।
এতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও ও রাজনৈতিক দলের প্রায় ১০ সহস্রাধ্রিক মানুষ অংশ নেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সকাল ১১টায় শোভাযাত্রাটি টেংকের পাড় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে পৌর মুক্ত মঞ্চে গিয়ে জড়ো হয়। সেখানে এক আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়।
আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার প্রমূখ।
শোভাযাত্রাটিতে শহরের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী সহ কয়েক হাজার লোক অংশগ্রহণ করে।
এছাড়াও জেলার আশুগঞ্জ, সরাইল, বিজয়নগর, নাসিরনগর, আখাউড়া, নবীনগর, কসবা, বাঞ্ছারামপুরে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বগুড়া
সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আনন্দ উৎসব ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রাটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
শোভযাত্রায় শেরপুর-ধুনট নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থি ছিলেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, শেরপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মুন্সি সাইফুল বারি ডাবলু, মোহাম্মাদ আলী মুন্টু, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব আম্বিয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের, শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো. এরফান, শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ জামাল সিরাজী, শেরপুর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম, উপজেলার সকল কর্মকর্তা, সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যসহ উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রংপুর
সকালে রংপুর মহানগরীতে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এর আগে সকালে নগরীর কাচারী বাজার এলাকায় বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মমতাজ হোসেন, সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম রাজু, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি শাফিয়ার রহমান শফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, দফতর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান টুটুল, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনা প্রমুখ।
এরপর একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান পিপিএম।
এছাড়া যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, সরকারি বেসরকারি সর্বস্তরের প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শ্রেণীপেশার মানুষ ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
এদিন রংপুর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি দফতর, সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, ব্যাংক-বীমা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ সর্বস্তরের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক শোভাযাত্রা বের করে।
গোপালগঞ্জ
সকাল ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বর থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারের নেতৃত্বে এ আনন্দ শোভা যাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় পৌর পার্কে এসে শেষ হয়। সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শোভা যাত্রায় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা, জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা অংশ গ্রহণ করেন। এর আগে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
কুমিল্লা
সকালে কুমিল্লা টাউন হল থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নেতৃত্বে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
কুমিল্লা কুমিল্লা শোভাযাত্রা শেষে সিটিপার্কে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যালে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মহানগর আওয়ামী লীগ ও সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট
সকাল ১০টার দিকে ঐতিহাসিক রেজিস্টারি মাঠে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কর্মসূচি। সিলেট জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিলেট জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সরকারি দফতরের কর্মকর্তারা এসময় পুস্পস্থবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দও।
সকাল ১১টায় শুরু হয় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি রেজিস্টারি মাঠ থেকে শুরু হযে সুরমা পয়েন্ট, সিটি পয়েন্ট, কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার পয়েন্ট হয়ে চৌহাট্টাস্থ সিলেট কেন্দ্রিয় মহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রার সামনে ছিল নৌকা আকৃতির একটি ট্রাক। শোভাযাত্রায় জাতীয় পতাকা, বেঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি বহন করেন অনেকে।
এদিকে, সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরু হবে স্বাধীনতার আলোকে কনসার্ট। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে শহীদ মিনারেই প্রদর্শিত হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’।
কুড়িগ্রাম
সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের শুরু হয়। একইসাথে জেলার সব কয়টি উপজেলায় আনন্দ মিছিল ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রত্যেকটি শোভাযাত্রায় স্বতঃস্ফূর্ত মানুষের ঢল লক্ষ্য করা গেছে। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও সাধারণ মানুষ অংশ নেয়।
আনন্দ মিছিল শেষে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী ও ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও কুইজ প্রতিযোগিতা ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে।
লালমনিরহাট
দুপুরে জেলা সদরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে আনন্দ শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রেজাউল আলম সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, সংসদ সদস্য অ্যাড. সফুরা বেগম রুমী এমপি।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মতিয়ার রহমান, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক প্রমুখ।
এ সময় সরকারি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী, এনজিও কর্মী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় সকালে, আদিতমারী ও কালীগঞ্জে দুপুরে, হাতীবান্ধায় বিকেলে এ শোভা যাত্র বের করা হয়।