শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন
গাইবান্ধা পলাশবাড়ীতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে নেপিয়ার (পাকচং-১) জাতের ঘাস। কৃষকরা ধানের খড়ের বিকল্প হিসেবে উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টিকর গো-খাদ্য হিসেবে এ ঘাস চাষে ঝুঁকে পড়েছে। অনেকে আবার বাণিজ্যিক ভাবে এ ঘাস চাষে সফল হয়েছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদক বিভাগ থেকে চাষিদেরকে এ ঘাস চাষে উদ্বৃদ্ধ করতে প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হচ্ছে বলে জানাযায়।
সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে,এ উপজেলায় গরু-ছাগলের খাদ্য হিসেবে দেশী ঘাস ও ধানের খর গরুর প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যাবহার করা হতো।বর্তমানে প্রত্যেক কৃষকের বাড়িতে গরু, ছাগলসহ অন্যান্য গবাদিপশু ব্যাপকভাবে পালন করা হচ্ছে।গরুর খাদ্য হিসেবে ভুষি খুদ, ভুট্টা ও দানাদার খাদ্যের দাম ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা নেপিয়ার ঘাষ চাষের উপর ঝুকে পরেছে।অনেক কৃষক জমিতে ধান চাষের পরিবর্তে ঘাস চাষ করছেন।
খামারী পৌর শহরের উদয়সাগর গ্রামের মোজা মিয়ার ছেলে সাহারুল ইসলাম জানান তিনি ১ একর জমিতে এই ঘাস চাষ করেছেন তেল, সার,বীজ ও মজুরী দিয়ে ধান চাষ করে লোকসান গুনতে হয়।একই জমিতে ধানের পরিবর্তে ঘাস চাষ করে সে বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হচ্ছে।
উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সুলতানপুর পাড়া গ্রামের কেরামত মুন্সি ছেলে নুরুল ইসলাম বলেন এই ঘাস চাস করে তিনি এক দিকে যেমন পশু খাদ্যের চাহিদা মেটাচ্ছেন অন্যদিকে বানিজ্যিক ভাবে তিনি লাভবান হচ্ছেন।
বরিশাল ইউনিয়নের নয়া বাজার এলাকার কৃষক স্বপন চন্দ্র বলেন এই ঘাস চাষ অত্যান্ত লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এই ঘাস চাষে ঝুকে পরেছেন।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে এলাকার ডেইরী ফার্ম চাষিদেরকে উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টি সমৃদ্ধ নেপিয়ার ঘাস (পাকচং-১) চাষ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে ও খামারীরা জানান।এতে কৃষকরা বেশি পরিমাণে এ ঘাস চাষ করছেন। কাটিংয়ের মাধ্যমে এ ঘাস জমিতে লাগানোর ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে ঘাস কাটা শুরু হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তা ডা. আলতাফ হোসেন বলেন দানাদার খাদ্যের তুলনায় এই ঘাসের দাম কম হওয়ায় খামারীরা এই ঘাস চাষ করছেন।এই ঘাস শুধু পলাশবাড়ী উপজেলায় নয় গোটা গাইবান্ধা জেলায় বানিজ্যিক ভাবে সরবরাহ করছে উপজেলার খামারি ও কৃষকরা।গবাদিপশু প্রজননের ক্ষেত্রে কাচা ঘাসের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এই ঘাস চাষের জন্য স্বল্প পরিমান সার ও প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।