শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন
সংসার সামলেও পড়াশোনা থেকে পিছপা হয় নি নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার মেয়ে সাদিয়া আফরিন। তিনি বলেন নারীদের অগ্রযাত্রায় বিয়ে কোন বাধা নয়। অভিভাবক ও স্বামীরা সচেতন হলেই নারীদের উচ্চশিক্ষা অর্জন সম্ভব। দুই সন্তানের জননী হয়েও ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ষষ্ঠ সমাবর্তনে সেরা শিক্ষার্থী হিসাবে এ স্বর্ণপদক পেয়েছেন তিনি।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ইন ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ এন্ড লিটারেচার (এম.এ ইন ইএলএল) পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় চেয়ারম্যানস গোল্ড মেডেল লাভ করেন নরসিংদী মেয়ে সাদিয়া আফরিন। একই বিষয়ে গতবছর বি.এ অনার্স পরীক্ষায়ও সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করেন তিনি। শনিবার (১৭ নভেম্বর) সাভারের আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী তার হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেন বলে নরসিংদী প্রতিদিনকে জানান কৃতি শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন।
সাদিয়া আফরিন নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার নোয়াকান্দী গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন (আবুল প্রফেসার) ও হাফছা বেগমের একমাত্র কন্যা। বাবা রিয়াজ উদ্দিন মনোহরদী সরকারি কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। দুই সন্তানের জননী সাদিয়া টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার আদাজান গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক যুবাইর হাসানের স্ত্রী। তিনি পিকজেল গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এবং সাউথনর্থ টেক্স এর চেয়ারম্যান। বর্তমানে সাদিয়া ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষকতা করছেন।
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সাদিয়া আফরিন বলেন, আমার নানা ও বাবা শিক্ষা ক্ষেত্রে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। আমি সত্যিই আজ বিমুগ্ধ,কারণ শিক্ষা ক্ষেত্রে একজন নারী হয়ে ও সংসার সামলেও পূর্ব পুরুষের মত স্বর্ণপদক পেয়েছি। মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার এ অর্জনের জন্য আমার মা-বাবা,আমার জীবন সঙ্গী এবং শিক্ষকবৃন্দের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতের জন্য সকলের কাছে আমি দোয়াপ্রার্থী।