নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,শুক্রবার,২৪ নভেম্বর ২০১৭: নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ও বংশীবাদক বারী সিদ্দিকীকে দাফন করা হবে তার জন্মস্থান নেত্রকোনার চল্লিশার কারলি গ্রামের বাউল বাড়িতে।
বারী সিদ্দিকীর ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী বলেন, বিদ্যাপীঠ নেত্রকোনা সরকারি কলেজ মাঠে বাদ আসর তৃতীয় জানাজা শেষে জেলা সদরের চল্লিশা বাজারের কারলি গ্রামের বাউলবাড়িতে বাবাকে দাফন করা হবে।
বারী সিদ্দিকীর মরদেহ নেত্রকোনায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন সাব্বির সিদ্দিকী। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বারী সিদ্দিকীর প্রথম নামাজে জানাজা এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
‘শুয়াচান পাখি’-খ্যাত এ সঙ্গীতশিল্পী রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ইন্তেকাল করেন। গত শনিবার থেকে নন্দিত এ কণ্ঠশিল্পীকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
বারী সিদ্দিকী কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন। তার দুইটি কিডনিতে সমস্যা ছিল। গত শুক্রবার রাতে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপরেই তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
নেত্রকোনার গোপাল দত্তের কাছে ১২ বছর বয়সে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন সিদ্দিকী। ১৯৮১ সাল থেকে উস্তাদ আমিনুর রহমানের কাছে ছয় বছর শিক্ষা গ্রহণ করেন তিনি। পরে তিনি ভারতের পুনেতে ভিজি কর্ণাদ-এর কাছে পেশাদার প্রশিক্ষণ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে যোগদান করেন তিনি।
দীর্ঘদিন সঙ্গীতের সঙ্গে জড়িত থাকলেও সবার কাছে বারী সিদ্দিকী শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পান ১৯৯৯ সালে। ২০০২ সালে ‘শুয়াচান পাখি আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি’ গানটি গেয়ে ফোক সঙ্গীতে আরও জনপ্রিয়তা পান তিনি। ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর এই গায়ক জন্মগ্রহণ করেন।