শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন

রাখাইনে হত্যা-ধর্ষণ-লুটতরাজের অভিযোগ অস্বীকার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৮৮ পাঠক
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের রোহিঙ্গাদের চালানো হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ ও লুটতরাজের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সেনাবাহিনীর আভ্যন্তরীণ ‘তদন্তের’ পরে দেশটির সেনাবাহিনী এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করলে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একে ‘হোয়াইট ওয়াশ’ বলে অভিহিত করে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও জাতিসংঘ এই নিপীড়নকে পাঠ্যবইয়ে থাকা ‘জাতিগত হত্যাযজ্ঞের বাস্তব উদাহরণ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল হাই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা ছবিতে প্রদর্শন করেছে পুড়ে যাওয়া বিধ্বস্ত রোহিঙ্গা গ্রাম। বিবিসির দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া প্রতিনিধি জোনাথন হেডের চোখের সামনে সশস্ত্র পুলিশের সামনে উত্তেজিত বৌদ্ধ জনগণ রোহিঙ্গা গ্রামে আগুন দিয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শুরু করা অভিযানের নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিপীড়নে ৬ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশে যে রোহিঙ্গারা পালিয়ে এসেছে তাদের অনেকের শরীরে বুলেটের আঘাত ছিল। তারা জানিয়েছে, বর্মি সেনা ও উগ্র বৌদ্ধ জনতা তাদের গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যা করেছে।

তবে ফেসবুকে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানায়, তারা কোনো নির্দোষ বেসামরিক ব্যক্তিকে গুলি করেনি, কোনো ধরণের যৌন সহিংসতা বা ধর্ষণ করেনি, কোনো গ্রামবাসীকে হত্যা বা মারধর করা হয়নি, গ্রামবাসীদের সোনা, রূপা, যানবাহন, গবাদিপশু লুটতরাজ করেনি। এছাড়া মসজিদে আগুন দেয়া, গ্রামবাসীকে হুমকি দেয়া ও বাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগও তারা অস্বীকার করে।

সেই দায় তারা চাপিয়েছে রোহিঙ্গা কমিউনিটির অভ্যন্তরে থাকা ‘সন্ত্রাসীদের’ উপর যাদের তারা বাঙ্গালি বলে অভিহিত করে। ৬ লক্ষাধিক মানুষ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের বিষয়ে সেনাবাহিনী বলে, তাদের সন্ত্রাসীরা এই নির্দেশ দিয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের ভয়ে তারা এটা করেছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই প্রতিবেদনকে হোয়াইট ওয়াশ অভিহিত করে রাখাইন অঞ্চলে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডারদের সেখানে যেতে দেয়ার আহ্বান জানায় মিয়ানমার সরকারের প্রতি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *