শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম:
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে তাবলিগ জামাতের ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা। তুরাগ তীরে প্রতি বছরই এ বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ।
জানা গেছে, শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মুসলিমের অন্যতম বৃহৎ এ ধর্মীয় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে। আজ শনিবার দুপুরের আগে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এক পক্ষের (মাওলানা জোবায়ের পন্থীদের) পরিচালনায় ইজতেমা।
যদিও বিপুল সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (১৪ ফ্রেব্রুয়ারি) বাদ আসর আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় মূল কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার (১৪ ফ্রেব্রুয়ারি) বাদ আসর পাকিস্তানের মাওলানা ওবায়দুল্লাহ খুরশিদ বয়ান শুরু করেন। বাংলাদেশের মাওলানা মো. জাকির হোসেন এ বয়ানের অনুবাদ করেন। বাদ মাগরিব বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমবয়ান করেন ভারতের মাওলানা আহমেদ লাট। এ বয়ানের অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা ওমর ফারুক।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির সূত্রে জানা গেছে, এ বছরও ইজতেমার মূল ‘আখেরি মোনাজাত’ আজ শনিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে মোনাজাত কে পরিচালনা করবেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত বছর ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির বিভিন্ন বক্তব্যের জেরে এবং তার বাংলাদেশে আসা না-আসা নিয়ে বিবাদ-বিভক্তি দেখা যায়। কিন্তু পরে বাংলাদেশ সরকার ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ মোট চারদিন দুই পর্বে ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম পর্বে (১৫-১৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্র ও শনিবার) কাকরাইল মসজিদের খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমদ সাহেব নেতৃত্ব দেবেন। পরের দুই দিন সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম নেতৃত্ব দেবেন। বিগত কয়েক বছর যাবত ইজতেমায় মুসল্লিদের বিপুল সমাগমের কারণে স্থান সংকুলান হতো না। তাই গত কয়েক বছর ধরে দুই পর্বে ইজতেমা করা হচ্ছিল। সেখানে দেখা গেছে, ইজতেমার প্রথম পর্বেই ঐতিহ্যবাহী আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হতো। তবে দ্বিতীয় পর্বেও অনানুষ্ঠানিক মোনাজাত পরিচালনা করা হতো।