শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন

গণতন্ত্র ও সংবিধান সমুন্নত রাখুন সেনাবাহিনীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৩৬ পাঠক
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা সমুন্নত রাখার পাশাপাশি সুখী এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আধুনিক, উন্নত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সেনাবাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কাদিরাবাদ সেনানিবাসে ইঞ্জিনিয়ার্স সেন্টার এন্ড স্কুল অব মিলিটারী ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিএসএমই)-এর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের ৬ষ্ঠ কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী কোর পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদউদ্দিন প্যারেডটি পরিচালনা করেন। মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনী প্রধান এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ইসিএসএমই প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহম্মদ শফিউল হক এবং কর্নেল কমান্ড্যান্ট ও কমান্ড্যান্ট অব দি ইসিএসএমই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন-২০১৮’য় যোগদান করেন। এছাড়া তিনি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আগত অফিসারদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী একাগ্রতা, কর্মদক্ষতা এবং নানাবিধ জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সার্বজনীন আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে সেনাসদস্যদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল করেছে। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর দুর্ঘটনায় দুর্গতদের সাহায্য ও সহযোগিতা করে সশস্ত্র বাহিনী অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ সময় তিনি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাঁর সরকারের আশ্রয় প্রদানের প্রসংগ উল্লেখ করে বলেন, মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের সহায়তায় সেনাবাহিনী অত্যন্ত প্রশংসার সঙ্গে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা অনেক দূর-দূরান্ত থেকে কষ্ট করে ইঞ্জিনিয়ার সেন্টারের পুনর্মিলনীতে যোগ দিয়েছেন, এ জন্য আপনাদের জানাই ধন্যবাদ। আমার বিশ্বাস, আপনাদের অভিজ্ঞতা, দিক নির্দেশনা ও উপদেশ বর্তমান যুগের স্যাপারদের সততা, দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগে অনুপ্রাণিত করবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন তার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দীন আহমেদ, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *