শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ধর্ষণ করতে গিয়ে যুবক খুন

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৫৯ পাঠক
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,বৃহস্পতিবার,১৮ জানুয়ারী ২০১৮:চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে মঈন উদ্দিন নামে এক যুবক খুনের এক সপ্তাহ পর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে ধর্ষণ করতে গিয়েই ওই যুবক খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হামিদা আকতার রনি (১৯) নামে এ তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই তরুণী মঈন উদ্দিনের প্রেমিকাদের একজন।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে রনিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত মঈন উদ্দিনের মোবাইলের কল লিস্ট পর্যালোচনা করে প্রযুক্তির সহায়তায় রনিকে মঈন উদ্দিনের খুনি হিসেবে সনাক্ত করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রনি হত্যাকান্ডের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। ফটিকছড়ি থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, কিছুদিন আগে রনিদের বাড়িতে বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে রনির সাথে পরিচয় হয় মঈনের। এর পর তা ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্কে রুপ নেয়। দুজন দুজনের আরো ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন।

এর মধ্যে মঈন অন্যত্র গোপনে বিয়ে করে ফেলেন। রনি ছাড়াও মঈন নাজিরহাট এলাকায় আরো এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এদিকে মঈনের কথাবার্তা রনির কাছে সন্দেহজনক হওয়ায় রনি মঈনের সাথে তেমন অন্তরঙ্গ হননি।

এরপর ৯ জানুয়ারি রাতে রনির মা বাবা অন্যত্র বেড়াতে গেলে এ সুযোগে মঈন রনিদের ঘরে যায়।এর আগে দুজনের মধ্যে ৭ বার মোবাইলে কথোপকথন হয়। পুলিশের কাছে রনি জানান মঈন তাদের ঘরে যাওয়ার পর দু’জনের মধ্যে কথা বার্তার এক পর্যায়ে মঈন রনিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে রনি ছুরি দিয়ে মঈনের পেটে পর পর দুবার আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মঈন মারা যান।

রনি পুলিশকে জানান, মঈনকে রনি পছন্দ না করলেও মঈন প্রায় সময় মোবাইলে রনিকে বিরক্ত করত। স্থানীয় সাইফুল নামে এক যুবকের মাধ্যমে রনির গতিবিধির খোঁজ খবর নিত।
পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করেছে।

আটক রনি ফটিকছড়ি কলেজ থেকে এবছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী। নিজে দুটি মোবাইল সিম ব্যবহার করত রনি। এর একটি স্থানীয় এক যুবকের নামে রেজিস্ট্রেশন করা। ওই যুবককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিলেও সংবাদ কর্মীদের তার নাম পরিচয় জানায়নি ।
এদিকে নিহত মঈনের দুটি সিমই রনি নষ্ট করে ফেলেছে।

হত্যাকান্ডটি রনি একা ঘটিয়েছে করেছে এমন দাবি করলেও লাশ কিভাবে পুকুরে এল এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানান ওসি মাহমুদ। গত ১০ জানুয়ারি বুধবার সকালে পৌরসভার ২ নম্বর দক্ষিণ রাঙ্গামাটিয়া এলাকার পুকুর থেকে মঈনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *