শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, বৃস্পতিবার,২৮ ডিসেম্বর ২০১৭: শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে জমানো টাকা খুইয়ে জাল মুদ্রা তৈরির মাস্টারমাইন্ড ছগির মাস্টারের সহযোগী হন ১৯৯৬ সালে। এরপর ২০০৭ সাল থেকে নিজেই হন মাস্টারমাইন্ড। নিজের সহযোগী এবং সিন্ডিকেটও বানান। যাদের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতেন জাল মুদ্রা। বলছিলাম লিয়াকত আলীর (৩৫) কথা। জাল টাকা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মনযোগ দেন জাল রুপি বানানোতে। দিব্যি চলছিলো ব্যবসা, কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় র্যাব।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ জাল মুদ্রা ও সহযোগীসহ এই লিয়াকত আলীকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার সহযোগীর নাম জাহাঙ্গীর আলম (৪০)।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘বাংলাদেশি জাল মুদ্রা তৈরি এবং বাজারজাতকরণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভারতীয় জাল মুদ্রা তৈরিতে ঝুঁকে পড়েন লিয়াকত। প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ লাখ রুপি তৈরি করে বাজারে সরবরাহ করতেন তিনি। ১ লাখ জাল রুপি বিক্রি করতেন ১২ হাজার টাকায়। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ভারতীয় ১০ লাখ টাকার জাল রুপি উদ্ধার করা হয়।’
এছাড়াও জাল রুপি তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, মুদ্রা তৈরিতে ব্যবহৃত স্কিন ডাইস ৬টি, ডাইস প্লেট দুটি, স্ক্যানার কাম প্রিন্টার দুটি, প্রিন্টার ৪টি, ভারতীয় জাল রুপির নিরাপত্তা সুতা সাত বান্ডেল, ফয়েল মেশিন একটি, জাল রুপি কাটার কাজে ব্যবহৃত কাটার মেশিন ৪টি, কাটার ব্লেড ৭ বক্স, জাল রুপি ছাপানোর কাজে ব্যবহৃত স্কিন রাবার ৫টি, জাল রুপি ছাপানোর কাজে ব্যবহৃত বিদেশি উন্নতমানের রঙিন কালি ১২০টি ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়।
এমরানুল হাসান বলেন, ‘শেয়ারবাজার ধসের পর ছগির মাস্টার জাল মুদ্রা তৈরির সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন। ছগির মাস্টারের সহযোগী হিসেবে লিয়াকত এই চক্রের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। পরে গত ১০ বছর ধরে কেরানীগঞ্জে নিজের ভাড়া বাসাতেই জাল মুদ্রা তৈরি শুরু করেন লিয়াকত। তিনি নিজেই গড়ে তোলেন অন্য একটি সিন্ডিকেট।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লিয়াকত জানান, বাংলাদেশি জাল মুদ্রা বাজারজাতকরণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভারতীয় মুদ্রা তৈরি করতেন তিনি। তার স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় সরবরাহ করতেন।
যেসব মানি এক্সচেঞ্জে সরবরাহ করতেন সেসবের বিষয়ে এখনো ধারণা পাওয়া যায়নি বলে জানান র্যাব অধিনায়ক। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় জাল টাকা তৈরির অভিযোগে পাঁচটি মামলা রয়েছে। তাদের সেই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।